৭ মার্চ টেলিটকের বিশেষ সাশ্রয়ী অফার চালুর নির্দেশ
ক.বি.ডেস্ক: টেলিটককে একটি বিশেষ সাশ্রয়ী অফার ঐতিহাসিক ৭ মার্চে চালুর নির্দেশ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে গোটা জাতি স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ঐতিহাসিক দিনটির আগে এই নির্দেশনা এলো। একইসঙ্গে তিনি গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে কাজ করারও পরামর্শ দেন।
গতকাল সোমবার (৪ মার্চ) ঢাকার গুলশানে টেলিটক সদর দপ্তর ঘুরে দেখার সময় এই নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় প্রতিমন্ত্রী অন্যান্য মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে টাওয়ার শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে টেলিটক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের অগ্রগতি এবং টেলিটকের বিদ্যমান পাঁচ হাজার ৬০০ টাওয়ারের কর্মক্ষমতা, বিশেষ করে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চান।
এর আগে ডাকভবনে স্মার্ট ডাকঘর নির্মাণে ডাক অধিদপ্তর, এটুআই এবং ইক্যাব এর সঙ্গে এক পরামর্শক সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডাকঘরের বিস্তীর্ণ নেটওয়ার্ক, বিশাল অবকাঠামো ও জনবল ব্যবহার করে প্রত্যন্ত এলাকাসহ দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় স্মার্ট ডাক সেবা পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। সময়ের চাহিদা মেটাতে ডাকঘরকে মেইল সার্ভিসিং থেকে ডেলিভারি সার্ভিসিংয়ে রূপান্তরের পাশাপাশি অন্যদের সঙ্গে অবকাঠামো শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে উন্নত ডাকসেবা প্রদানের সুযোগ রয়েছে। সে সুযোগ কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্টদের পথ নকশা তৈরির নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ”ডিজিটাইজেশনের প্রভাবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে চিঠি আদান-প্রদানের যুগ শেষ হয়ে গেলেও পণ্য পরিবহনে ডাকঘর হবে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সেবা প্রতিষ্ঠান। ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশের ঠিকানা আমরা ২০২১ সালে অতিক্রম করেছি। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের আরেকটি স্বপ্নের ঠিকানায় ২০৪১ সালের মধ্যে পৌঁছানোর অভিযাত্রা আমরা শুরু করেছি। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ কম খরচে ঘরে বসেই ডিজিটাল শপ থেকে কেনা পণ্য যাতে হাতে পান সেই লক্ষ্যে স্মার্ট ডাক বিতরণের উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। স্মার্ট ডাক ব্যবস্থায় দেশের ১০ হাজার পোস্ট অফিসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন হাবের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব হবে।”