৫ বিলিয়ন ডলারের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি তৈরির প্রতিশ্রুতি
ক.বি.ডেস্ক: ই-ক্যাব কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন সামনে রেখে সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে আগামী দুই বছরের (২০২২-২০২৪) জন্য ‘অগ্রগামী’ প্যানেলের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। আগামী ১৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) ৯ সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদ (ইসি) নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে ভোটার রয়েছেন ৭৯৫ জন।
অগ্রগামী প্যানেল: এই প্যানেলের সদস্যরা হচ্ছেন- ধানসিঁড়ি ডিজিটাল লিমিটেডের শমী কায়সার, কমজগত টেকনোলজিসের মোহাম্মাদ আবদুল ওয়াহেদ তমাল, ডায়াবেটিস স্টোর লিমিটেডের মোহাম্মাদ সাহাব উদ্দিন, রেভারি করপোরেশন লিমিটেডের নাসিমা আক্তার, ব্রেকবাইটের আসিফ আহনাফ, ডিজিটাল হাব সলিউশনস লিমিটেডের মোহাম্মাদ সাইদুর রহমান, ফোকাস ফ্রেমের মো. রুহুল কুদ্দুস, পেপারফ্লাই প্রাইভেট লিমিটেডের শাহরিয়ার হাসান ও ফুডপান্ডা বাংলাদেশ লিমিটেডের সৈয়দা আম্বারীন রেজা।
নির্বাচনী ইশতেহার: অগ্রগামী প্যানেলনির্বাচিত হলে আগামী দুই বছরের মধ্যে পাঁচ বিলিয়ন ডলার ও দশ লক্ষ কর্মসংস্থানের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি গড়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করা। এর পাশাপাশি স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের উন্নয়নে ও ই-কমার্সে নতুন উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিতে একটি স্টার্টআপ অ্যাকাডেমি ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন।
দেশীয় স্টার্টআপের গ্লোবাল কানেক্টিভিটি বাড়ানো, ইনভেস্টরদের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করা, বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের আরও দক্ষ করা। একটা স্টার্টআপকে গ্লোবালি এগিয়ে নিতে সবধরণের সহায়তা ও মেন্টরশিপের ব্যবস্থা করা হবে ই-ক্যাবের মাধ্যমে।
সদস্যদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তার পরিধি বাড়ানো ও উদ্যোক্তাবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে উদ্যোক্তাদের সচেতন রাখতে তাদের জন্য আলোচনা ও কর্মশালা আয়োজন করা।
ই-ক্যাবকে একটি সদস্যবান্ধব অন্তর্ভূক্তিমূলক সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করার জন্য ই-ক্যাবের সদস্যদের মধ্যে নারীদের অংশগ্রহণ ৫০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য ঠিক করা। নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা বাড়ানোসহ সদস্যদের দক্ষতা উন্নয়নেও কাজ করা। দক্ষ জনবল ও সদস্যদের অংশগ্রহণে একটি শক্তিশালী কর্মীবাহিনী গড়ে তোলা, যারা দেশের ই-কমার্স খাতকে সামনে এগিয়ে নেবে।
ই-ক্যাবের প্রসারমাণ কার্যক্রমকে সুসংহত করতে ও সংগঠনের নিজস্ব সচিবালয় ভিত্তিক কার্যক্রমকে শক্তিশালী করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা। যার মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যত চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশের ই- কমার্স খাতকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ক্রস বর্ডার পলিসি ও ডিজিটাল পেমেন্টকে জনপ্রিয় করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা।