২৪ ঘণ্টায় ওষুধ ডেলিভারি সেবায় “মেডিসিন ডিপো“
ক.বি.ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টা ওষুধ ডেলিভারি সেবা নিয়ে চালু হচ্ছে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘মেডিসিন ডিপো‘। শুরুতেই ঢাকা মহানগরীতে এক ঘণ্টায় ওষুধ সরবরাহ করতে অনলাইন শপটির ১০টি পয়েন্টে রয়েছে অফলাইন ডিপো। ওয়েবে হাজির হলেও এক পক্ষের মধ্যে আ্যপসে মিলবে এই সেবা। ক্রেতা এবং রোগীর চিকিৎসাপত্র থাকবে সুরক্ষিত। দেশ-বিদেশের ৪২টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪০ হাজার ওষুধ রয়েছে এই ডিপোতে। কেবল ঢাকা নয়, দেশজুড়েই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগীর হাতে হাতে ঔষধ পৌঁছে দিতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।
গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে অনলাইন ওষুধ ফার্মেসিটির সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ‘মেডিসিন ডিপো’ এর উন্মোচন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেডিসিনডিপো’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়ামুল করিম টিপু এবং হেড অব বিজনেস কালাম হোসেন।
নিয়ামুল করিম টিপু বলেন, বিটুবি ও বিটুসি- দুই মডেলেই পরিচালিত হবে মেডিসিন ডিপো ডটকম। বিটুবি’তে ব্যবসা করলেও বিটুসি- থাকবে শুধুই সেবার জন্য। আমাদের লক্ষ্য সময়ে-অসময়ে জরুরী প্রয়োজনে রোগীর অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া। প্রয়োজন হলে চিকিৎসা পত্র অনুযায়ী বিদেশ থেকেও এনে দেয়া হবে। তবে এজন্য বাড়তি চার্জ করা হবে না। কেননা, অনলাইনে মানুষ যাতে খুব সহজেই এবং স্বল্পমূল্যে ওষুধ কিনতে পারে, তা নিশ্চিত করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আশা করি, সেবার মাধ্যমে আমরা সবার মন জয় করতে পারবো। অচিরেই নাইজেরিয়া থেকে শুরু করে আফ্রিকায় বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি করা হবে। ওষুধের কাঁচামাল নিয়ে প্রায় ২০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে, দেশ ও বিদেশের স্বনামধন্য ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের পার্টনারশিপ রয়েছে। ফলে আমরা শতভাগ নির্ভেজাল ও সাশ্রয়ী মূল্যে ওষুধের নিশ্চয়তা দিতে পারি। আমি ব্যবসা নয়, সেবার ব্রত নিয়ে এটি আগামীতে ফ্রাঞ্চাইজি মডেলে নিয়ে যেতে চাই।
কালাম হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে রাজধানীতে এবং পরবর্তীতে দেশের অন্যান্য স্থানেও কার্যক্রম বিস্তৃত করবে মেডিসিন ডিপো। আগামী ১ বছর রাজধানীতে ওষুধ সরবরাহে কোন ডেলিভারি চার্জ রাখা হবে না। পাশাপাশি ওষুধেভেদে দেয়া হবে মূল্য ছাড়। আর ওষুধের মান যথাযথ রাখতে আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি। ঘরে বসেই অনলাইনে প্রয়োজনীয় ওষুধ অর্ডার করে দ্রুততম সময়ে ডেলিভারি পাওয়া যাবে। ঢাকায় এক ঘণ্টায় ওষুধ ডেলিভারি দেবো।
ওষুধের পাশাপশি মেডিসিনডিপো’তে স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পণ্য যেমন প্রেসার মাপার মেশিন, থার্মোমিটারসহ ফুড সাবলিমেন্টারিও পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়। রোগীর তথ্য তারা এনক্রিপ্টেড রাখবেন। সার্ভারেরও থাকবে সুরক্ষিত।