উদ্যোগ

হুয়াওয়ে আইসিটি ইনকিউবেটর: বিজয়ী ছয় স্টার্টআপ

ক.বি.ডেস্ক: স্টার্টআপ এবং তরুণদের আইসিটি খাতে দক্ষতার বিকাশের লক্ষ্যে আয়োজিত ‘‘হুয়াওয়ে আইসিটি ইনকিউবেটর’’ এর গালা ইভেন্ট গতকাল বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানী একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ছয় বিজয়ী স্টার্টআপের নাম ঘোষণা করা হয়। প্রতিযোগিতায় আইডিয়া স্টেজ এবং আর্লি স্টেজ নামে দুটি গ্রুপ ছিলো। এই দু’টি গ্রুপ থেকেই তিনটি করে স্টার্টআপ বিজয়ী হিসেবে নির্বাচন করা হয়।

‘হুয়াওয়ে আইসিটি ইনকিউবেটর’ গালা ইভেন্ট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ভিনসেন্ট চ্যাং, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ এবং আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যান জুনফেং।

হুয়াওয়ে আইসিটি ইনকিউবেটর প্রতিযোগিতায় আইডিয়া স্টেজ এবং আর্লি স্টেজ নামে দুটি গ্রুপ ছিলো। এই দু’টি গ্রুপ থেকেই তিনটি করে স্টার্টআপ বিজয়ী হিসেবে নির্বাচন করা হয়। আইডিয়া স্টেজে ইনসিউরকাউ চ্যাম্পিয়ন হয়; দুর্জয় ডিএসএস প্রথম রানার আপ  এবং রিল্যাক্সি দ্বিতীয় রানার আপ হয়। আর্লি স্টেজে জাহাজী লিমিটেড চ্যাম্পিয়ন; পালকি প্রথম রানার আপ  এবং উইগ্রো টেকনোলোজিস লিমিটেড দ্বিতীয় রানার আপ  হয়।

চ্যাম্পিয়নরা প্রাইজমানি হিসেবে ৫ লক্ষ টাকা এবং ১ লক্ষ ২৫ হাজার ইউএসডি সমমূল্যের হুয়াওয়ে ক্লাউড ক্রেডিট পাবেন। ৮০ হাজার ইউএসডি সমমূল্যের হুয়াওয়ে ক্লাউড ক্রেডিট ছাড়াও ১ম ও ২য় রানারআপ পাবেন যথাক্রমে ৩ লক্ষ ও ১ লক্ষ টাকা। এ ছাড়াও, প্রত্যেক স্টার্টআপের একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা দেশের বাইরে সফল স্টার্টআপের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করা সুযোগ পাবেন।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক  বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বিকাশমান প্রযুক্তির সমাধানগুলোই অর্থনীতির চালিকা শক্তিতে পরিণত হবে। গণিত ছাড়া আমরা কিছুই করতে পারবো না।কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা ছাড়া আগামীতে ব্যবসায় করা কঠিন হয়ে পড়তে পারে। রোবটিকস ও ডেটা এনালিটিক্স দক্ষতা ছাড়া কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কার্যক্রম চালানোও কঠিন হয়ে পড়বে।

লি জিমিং বলেন, চীন ও বাংলাদেশ সহযোগিতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে কাজ করে। সাম্প্রতিক সময়ে, চীনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ অবকাঠামো, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে তাদের বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছে। এসব খাতের মধ্যে আইসিটি খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময়। আমি আত্মবিশ্বাসী, এ দুই দেশ আরও ভালোভাবে আইসিটি খাতে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে পারবে এবং আমার মনে হয় চীন ও বাংলাদেশ উভয়ই এর সুফল পাবে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *