হুয়াওয়ে’র বিশেষায়িত নলেজ-শেয়ারিং সেন্টার চালু
ক.বি.ডেস্ক: ঢাকায় ‘‘হুয়াওয়ে বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি’’ নামে একটি বিশেষায়িত নলেজ-শেয়ারিং সেন্টার চালু করেছে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ। থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপিনসের পর বাংলাদেশে এই অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠা করল হুয়াওয়ে। এই অ্যাকাডেমির অডিও-ভিজ্যুয়াল সাপোর্ট সম্বলিত চারটি জোন রয়েছে। উন্নত সুযোগ-সুবিধাসহ আরও আছে প্রশিক্ষণ কক্ষ, ষ্টুডিও-গ্রীনরুম (ভিডিও শুটিং/অনলাইন প্রশিক্ষণ/যোগাযোগ), প্রদর্শনী ও প্রেজেন্টেশন এলাকা এবং হুয়াওয়ে আইডিয়া হাব।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) গুলশানের বে’স গ্যালারিয়ায় আয়োজিত বিশেষায়িত নলেজ-শেয়ারিং সেন্টার ‘হুয়াওয়ে বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি’ এর উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, হুয়াওয়ে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যান জুনফেং এবং চিফ টেকনিক্যাল অফিসার মাজিয়ান প্রমুখ।
সাত হাজার বর্গফুটের হুয়াওয়ের এই অ্যাকাডেমিটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত। অত্যাধুনিক আইসিটি প্রযুক্তি ও সলিউশন, ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স ছাড়াও গত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে গবেষণা ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগের মাধ্যমে হুয়াওয়ে যা অর্জন করেছে সে সকল জ্ঞানও এখানে সরকারি কারিগরি কর্মকর্তা, টেলকো অপারেটর, অ্যাকাডেমিশিয়ান, সিএসই/ইইই শিক্ষার্থীসহ সামগ্রিক ইকোসিস্টেম পার্টনারদের কাছে তুলে ধরা হবে।
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরেই আইসিটির বিকাশ চলমান রয়েছে। এখন বাংলাদেশ এই অঞ্চলের মেধার কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে। হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে, তা হলো বাংলাদেশ এ অঞ্চলের ট্যালেন্ট হাবে পরিণত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। অন্যদিকে, বহু বছর থেকে গবেষণা ও উন্নয়নে নিজেদের বিশাল বিনিয়োগের ফলে হুয়াওয়ে অসংখ্য আইসিটি পেটেন্ট এবং জ্ঞান অর্জন করেছে এবং অনেকগুলো বছর ধরে বাংলাদেশে নতুন-নতুন প্রযুক্তি ও সল্যুশন নিয়ে আসার মাধ্যমে হুয়াওয়ে আমাদের টেলিযোগাযোগ খাতের উন্নয়নে অবদান রেখে যাচ্ছে। হুয়াওয়ে বাংলাদেশ অ্যাকাডেমির লক্ষ্যও এর ব্যতিক্রম নয়।
রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে বড় উদাহরণ। এক্ষেত্রে চীন বাংলাদেশের সঙ্গে এর প্রযুক্তিগত দক্ষতা বিনিময় করতে পারে। হুয়াওয়ে চীনের অন্যতম অন্যতম সেরা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এবং এটি গবেষণা ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগের মাধ্যমে বিশ্বের তথ্য-প্রযুক্তি খাতে নেতৃত্ব প্রদান করছে। হুয়াওয়ে বাংলাদেশে ২৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি এদেশে নিজস্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
প্যান জুনফেং বলেন, আমাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা ইকোসিস্টেম সহযোগীদের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির জন্য সহায়ক হতে পারে। হুয়াওয়ে বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি একটি নলেজ হাব হিসেবে পরিণত হবে; যেখানে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও বৈশ্বিক বিভিন্ন প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করা হবে। এটি স্মার্ট বাংলাদেশ এর লক্ষ্য পূরণে সরকার, আইসিটিখাতের সকল সহযোগী, শিক্ষক-গবেষক-ছাত্রসহ সকলকে এক জায়গায় নিয়ে আসবে বলে প্রত্যাশা করি।