হুয়াওয়ে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার বাংলাদেশ’-এর নিবন্ধন শুরু
ক.বি.ডেস্ক: হুয়াওয়ে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৪ বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার নিবন্ধন শুরু হয়েছে। দেশের স্নাতক তৃতীয় বর্ষ বা এর ওপরের পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা তাদের সিভি পাঠিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। দেশের শিক্ষার্থীদের আইসিটি জ্ঞান/দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি মজবুত আইসিটি অবকাঠামো গড়ে তুলতে প্রতি বছর এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে হুয়াওয়ে।
১১তম ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৪ বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় পুরস্কার হিসেবে বাংলাদেশ রাউন্ডের চ্যাম্পিয়ন পাবে হুয়াওয়ে মেটবুক, প্রথম রানার আপ পাবে হুয়াওয়ে প্যাড এবং দ্বিতীয় রানার আপ পাবে হুয়াওয়ে স্মার্ট ওয়াচ। এর পাশাপাশি, এশিয়া প্যাসিফিক রাউন্ডের শীর্ষ দুইটি প্রজেক্ট টিমের সদস্যরা পাবে চীন ভ্রমণের সুযোগ।
ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.৩০ প্রাপ্ত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে। আগ্রহী শিক্ষার্থীদেরকে ২০ মার্চ এর মধ্যে sftfbd@huawei.com -এ সিভি ইমেল করতে হবে। বিস্তারিত জানতে: https://www.huawei.com/minisite/seeds-for-the-future/index.html
গত শনিবার (২ মার্চ) হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে আয়োজিত ১১তম ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৪ বাংলাদেশ’-এর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত এইচ ই ইয়াও ওয়েন, বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বিটিআরসি’র কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ, বিটিআরসি সচিব মো. নুরুল হাফিজ এবং হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং।
মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, “চীন ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে যেতে সহায়তা করে আসছে। এই প্রতিযোগিতা থেকে প্রাপ্ত জ্ঞানের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। আজকের তরুণ এই ধরণের সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগাতে পারলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ জাতি হিসেবে এগিয়ে যাবে।’’
রাষ্ট্রদূত এইচ ই ইয়াও ওয়েন বলেন, “সিডস ফর দ্য ফিউচার হুয়াওয়ের একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম। এর লক্ষ্য হল সামাজিক দায়বদ্ধতাকে আরও ভালভাবে পূরণ করার পাশাপাশি বাংলাদেশের আইসিটি সেক্টরে তরুণদেরকে প্রশিক্ষিত করা। এই প্রোগ্রামটি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের চাহিদাকে বিস্তৃতভাবে পূরণ করতে পারবে। তরুণরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্মাতা।’’
প্যান জুনফেং বলেন, “তরুণদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এটি হুয়াওয়ের একটি অনন্য কর্মসূচি, যা বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীকে সহযোগিতা করার প্রতি আমাদের দৃঢ় প্রত্যয়কে তুলে ধরে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের প্রশিক্ষণের সুবিধা প্রদানে সফল হয়েছি। এই বছর আমরা আরও প্রতিভাবান তরুণকে এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে দেখবো, যারা আগামীতে দক্ষ আইসিটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে নেতৃত্ব দেবে।”