স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেও ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকবে: পলক
ক.বি.ডেস্ক: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের মতই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেও বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত। কোনো দেশ এককভাবে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না। বাংলাদেশ ও ভারতের বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে একসঙ্গে কাজ করবে। নৌপথে, আকাশপথে দুই দেশ যেমন একসঙ্গে কাজ করে, তেমনি সাইবার জগত নিরাপদ রাখতেও একসঙ্গে কাজ করা জরুরী।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে তার দপ্তরে বাংলাদেশে ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাতকালে তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি বিশেষ করে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি খাত সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘‘সাইবার জগতকে নিরাপদ রাখতে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে কাজ করবে। এ বিষয়ে আগামী ছয় মাসের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি হতে পারে। সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে ৫ বছর আগে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল। ভারতের একটি সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ দল তিন মাস আগে বাংলাদেশ সফর আসলে তখন সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনায় বলা হয়, এ বিষয়ে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করা জরুরী। বাংলাদেশের ১২টি হাইটেক পার্ক নির্মাণে লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় ভারত ১৯ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে। এসব হাইটেক পার্ক আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে চালু হবে।’’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘ডিজিটাল বাংলাদেশের পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দেশটি বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে। এতে মানুষের কর্মসংস্থান হবে। রপ্তানি বাড়বে। প্রায় দেড়শত কোটি মানুষের দেশ ভারত একটি বিশাল বাজার। আমরা আমাদের উৎপাদিত সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার রপ্তানির মাধ্যমে বিশাল এ বাজার ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতের অগ্রযাত্রার মাইলফলক হতে পারে। এ ছাড়াও ডেটা সেন্টার নির্মাণ, ডাক, টেলিকম ও আইসিটি’র বেসরকারি খাতে ভারতীয় বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ-ভারত স্টার্টআপ সেতুবন্ধন ত্বরান্বিত করতে আরো মনোযোগ দেয়া হবে। বিপরীতে ডিজিটাল ভারত বিনির্মাণে বাংলাদেশ দেশটির পাশে থাকবে। আর ভারত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশের পাশে থাকবে।’’
ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, ‘‘আইসিটি খাতের নানা বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে। তরুণদের কিভাবে আরও প্রযুক্তি-নির্ভর ও কর্মমুখী করা যায় সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। ডিজিটাল পেমেন্ট কিভাবে হবে সেটিও আলোচনায় এসেছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধির কারণে দু’দেশের মানুষ উপকৃত হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।’’