স্কুল ভর্তিতে ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশ
ক.বি.ডেস্ক: দেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির লক্ষ্যে ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশ করা হয়েছে। লটারি হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা এখন মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে ফলাফল পেতে থাকবেন। এ ছাড়া টেলিটকের মোবাইল থেকে এসএমএস করেও ফল জানা যাবে। মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলের সরাসরি তত্ত্বাবধানে এই ডিজিটাল অনলাইন লটারি প্রক্রিয়ায় ছাত্রছাত্রী নির্বাচন কার্যক্রমে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
২০২৪ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন ৬৫৮টি সরকারি ও ৩ হাজার ১৮৮টি বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তিতে অনলাইনে আবেদন শুরু হয় গত ২৪ অক্টোবর। এই প্রক্রিয়া চলমান ছিল ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত। এ প্রক্রিয়ায় দেশব্যাপী ৩ হাজার ৮৪৬টি বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির লক্ষ্যে মোট ১০ লাখ ৬০ হাজার নয়টি শূন্য আসনের চাহিদা পাওয়া যায়। শূন্য আসনের বিপরীতে ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯২টি আবেদন জমা পড়ে। আবেদনগুলো থেকে ভর্তির লক্ষ্যে শ্রেণিভিত্তিক বণ্টন কার্যক্রমে ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থী ভর্তির ডিজিটাল লটারি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাউশি’র সচিব সোলেমান খান, মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার, টেলিটক বাংলাদেশ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম হাবিবুর রহমানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, টেলিটক ও বিসিসি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
যেভাবে দেখবেন ফলাফল
লটারির ফলাফল দেয়া হবে অনলাইনেও। শিক্ষার্থী, অভিভাবক বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা http://gsa.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে শিক্ষার্থীদের আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফলাফল জানতে পারবেন। টেলিটক মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে পাওয়া যাবে। এসএসএস এর মাধ্যমে জানার জন্য মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে GSA লিখে স্পেস দিয়ে Result লিখে স্পেস দিয়ে User ID লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে 16222 নম্বরে।
প্রসঙ্গত, লটারিতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরকারি নিয়মে ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী সাধারণ, ক্যাচমেন্ট, মুক্তিযোদ্ধা, পোষ্য কোটা, অক্ষম, সরকারি প্রাথমিক স্কুল, প্রতিবন্ধী কোটাসহ নিয়মানুযায়ী সব কোটা বিবেচনা করা হয়েছে। শূন্য আসন থাকা সাপেক্ষে ও প্রার্থীর স্ব স্ব ক্ষেত্রে ক্লাস, শিফট ও পছন্দের ক্রমানুযায়ী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। ডিজিটাল অনলাইন লটারি কার্যক্রমে সফটওয়্যারের মাধ্যমে দ্বৈবচয়ন পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছাত্রছাত্রীদের নির্বাচন করা হয়।