সৌরবিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনে হুয়াওয়ে ও বিজিএমইএ
ক.বি.ডেস্ক: সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশও জীবাশ্ম জ্বালানি ও গ্যাস সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে বিকল্প জ্বালানি উতসের ব্যবস্থা করা এবং সৌরবিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে সবুজ বাংলাদেশের দিকে যাত্রাকে ত্বরাণ্বিত করা অত্যন্ত জরুরি। নবায়নযোগ্য জ্বালানি সমাধান নিশ্চিতে হুয়াওয়ের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
গতকাল রবিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে দু’পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বিজিএমইএ’র প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও প্যান জুনফেং এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। দেশের সাম্প্রতিক জ্বালানি সঙ্কট মোকাবিলা করতে এবং সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তোলার পদক্ষেপ হিসেবে এই এমওইউ স্বাক্ষর করা হয়েছে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে পোশাক কারখানাগুলোকে গ্রিন ফ্যাক্টরিতে পরিণত করতে হুয়াওয়ে ও বিজিএমইএ একযোগে কাজ করবে। বিজিএমইএ’র তালিকাভুক্ত পোশাক কারখানাগুলোতে ওপেক্স ও ক্যাপেক্স দু’টি মডিউলে সৌরবিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করবে হুয়াওয়ে। দু’টি মডিউলের ক্ষেত্রেই হুয়াওয়ে ও কারখানাগুলোর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনসহ পুরো প্রক্রিয়াটির তত্ত্বাবধান করবে বিজিএমইএ।
পোশাক কারখানাগুলোর ছাদে ২ গিগাওয়াটের বেশি সৌরবিদ্যুত সিস্টেম স্থাপনের সুযোগ রাখা হয়েছে, যা সবমিলিয়ে প্রতিবছর প্রায় ২৬০০ গিগাওয়াট আওয়ার নবায়নযোগ্য জ্বালানি উতপন্ন করতে সক্ষম হবে। এর মাধ্যমে গ্রিড বিদ্যুতের ওপর চাপ কমে আসবে এবং দেশের চলমান বিদ্যুত সঙ্কট নিরসনে এই উদ্যোগ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এই ধরনের উদ্যোগ জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর থেকে কারখানাগুলোর নির্ভরতা কমিয়ে আনবে এবং তুলনামূলক কম খরচে বিদ্যুত ব্যবহারের সুযোগ তৈরি করবে।
ফারুক হাসান বলেন, নবায়নযোগ্য শক্তির উতস এবং বিদ্যুতের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে স্মার্ট প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ এই শিল্পের জন্য এখন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। বিশ্বজুড়ে বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করে বলা যায়, আরএমজি কারখানাগুলোর উতপাদনের ক্ষেত্রে কার্বন পদচিহ্ন হ্রাস করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। ওপেক্স মডেল একটি আদর্শ মডেল হতে পারে। ক্যাপেক্স মডেলের মাধ্যমে কারখানাগুলো তাদের ছাদের অব্যবহৃত অংশ ব্যবহার করে সবুজ এবং নবায়নযোগ্য শক্তি উতপাদন করতে পারবে এবং নিঃসৃত কার্বনের পরিমাণ কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে।
প্যান জুনফেং বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত এই মুহুর্তে বিদ্যুত সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে; এতে করে কারখানাগুলোর খরচ বেড়ে যাচ্ছে। সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে গ্রিন সলিউশন নিশ্চিত করে এই সঙ্কট নিরসনে বিজিএমইএর সঙ্গে একযোগে কাজ করবে হুয়াওয়ে। একইসঙ্গে, এই উদ্যোগ জাতীয় গ্রিডের ওপর চাপ কমাতে এবং কারখানাগুলোকে গ্রিন ফ্যাক্টরিতে পরিণত হতে সহায়তা করবে।