সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইনে অবদান: উল্কাসেমি’র আইসিটি খাতে জাতীয় স্বীকৃতি

ক.বি.ডেস্ক: সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইনের মাধ্যমে দেশের আইসিটি খাতে বিশেষ অবদান রাখায় পুরষ্কার পেয়েছে দেশের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের নেতৃত্বস্থানীয় প্রতিষ্ঠান উল্কাসেমি। পুরস্কারপ্রাপ্ত তিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি উল্কাসেমি প্রাইভেট লিমিটেড। বর্তমান প্রযুক্তি, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সেমিকন্ডাক্টর চিপের ওপর নির্ভরশীল। ভবিষ্যতের এই নেতৃত্বস্থানীয় প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে দেশের শীর্ষস্থানীয় সেমিকন্ডাক্টর প্রতিষ্ঠান উল্কাসেমি।
গতকাল শনিবার (১৭ মে) রাজধানীর বিটিআরসি ভবনে ‘ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষের সমতায়ন’ স্লোগানে আয়োজিত ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ২০২৫’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে সম্মননা ও পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান অব. মেজর জেনারেল এমদাদ উল বারী। সভাপতিত্ব করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব( রুটিন দায়িত্ব) মো. জহিরুল ইসলাম।

দেশের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের নেতৃত্বস্থানীয় প্রতিষ্ঠান উল্কাসেমিতে রয়েছে বাংলাদেশী দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারদের শক্তিশালী দল। দেশের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের মাধ্যমে ডিজিটাল রুপান্তরে কোনও ভেদাভেদ না রেখে কেবল মেধার গুরুত্ব দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছে অসংখ্য নারী ইঞ্জিনিয়ার, যারা তাদের মেধা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অবদান রাখছে দেশের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে।
২০৩০ সালের মধ্যে দেশের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পকে মাল্টি বিলিয়ন ডলারের বাজারে রূপান্তরের পরিকল্পনা করছে এই প্রতিষ্ঠানটি। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আগামী ৫ বছরে ৫ হাজার দক্ষ সেমিকন্ডাক্টর প্রকৌশলী তৈরিতে কাজ করছে তাঁরা। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে সাড়ে ৫শ দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার।