সিঙ্গার এর অত্যাধুনিক হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস ম্যানুফেকচারিং প্ল্যান্ট
ক.বি.ডেস্ক: আঞ্চলিক ম্যানুফেকচারিং হাব হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থানকে তুলে ধরার লক্ষে সিঙ্গার-এর মূল প্রতিষ্ঠান বেকো’র সহযোগিতায় অত্যাধুনিক হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস প্ল্যান্ট চালু করা হয়েছে। ৪ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের মধ্য দিয়ে এখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও ইন্টারনেট অব থিংসের (আইওটি) মতো সর্বাধুনিক প্রযুক্তি বিকশিত করা হবে। এই প্ল্যান্টে রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন, ওয়াশিং মেশিন, এয়ার কন্ডিশনার ও অন্যান্য হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস ম্যানুফেকচারিং করা হবে।
এই প্ল্যান্টটি ১৩৫ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প। এই উদ্যোগটি সিঙ্গার বাংলাদেশের উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি বাজারে এই প্রতিষ্ঠানের অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে। এই কারখানার ডিজাইন সূর্যের আলোর উত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে। টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থাপনার জন্য স্কাইলাইট ছাদ বানানো হয়েছে। এর ফলে কারখানার ছাদের সৌর প্যানেল ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কার্বন নির্গমন রোধ করবে।
বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে ল্যান্ডস্কেপ ইরিগেশনের কাজে ব্যবহার করা হবে। টেকসই অনুশীলন ও গুণমানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য এনার্জি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্ল্যান্ট নির্মাণের সময় স্থানীয় ও পুনর্ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে।
সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড সম্প্রতি এর মূল প্রতিষ্ঠান বেকো’র (তুরস্কের কচ গ্রুপের একটি ফ্লাগশিপ প্রতিষ্ঠান) সহযোগিতায় বাংলাদেশে অবস্থিত এর অত্যাধুনিক হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কচ হোল্ডিংয়ের কনজ্যুমার ডিউরেবলস গ্রুপের সভাপতি ড. ফাতিহ কেমাল এবিচলিওলু, বেকো’র সিইও হাকান বুলগুরলু, তুর্কিয়ে ও দক্ষিণ এশিয়ার সিসিও জান ডিনচার, সিএফও বারিস আলপারসলান, প্রধান উৎপাদন ও প্রযুক্তি কর্মকর্তা নিহাত বাইজ, প্রধান ক্রয় ও সাপ্লাই চেইন কর্মকর্তা জেম কুরাল, দক্ষিণ এশিয়ার নির্বাহী পরিচালক সিবেল কেসলার, দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক বিপণন, ব্যবসায়িক রূপান্তর এবং বৃদ্ধি বিভাগের পরিচালক হানদান আবদুর রাহমানোলু এবং সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও এম এইচ এম ফাইরোজ এদের মধ্যে অন্যতম।
এই উদ্যোগটি সিঙ্গার বাংলাদেশের উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি বাজারে এই প্রতিষ্ঠানের অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে। দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশকে কনজিউমারস ডিউরেবলসের একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে ভূমিকা রাখবে এই প্ল্যান্ট। এ ছাড়া, একটি শক্তিশালী স্থানীয় সাপ্লায়ার ইকোসিস্টেম তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে, এই খাতের আমদানি নির্ভরতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে। অদূর ভবিষ্যতে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পণ্য রপ্তানির পরিকল্পনাও রয়েছে, যা আঞ্চলিক বাজারে সিঙ্গার বাংলাদেশের অবস্থান আরও দৃঢ় করবে।