সকল ডাকঘরকে স্মার্ট ডাকঘরে রূপান্তরের কাজ শুরু হয়েছে: প্রতিমন্ত্রী পলক
ক.বি.ডেস্ক: ডাক,টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের সকল ডাকঘরকে স্মার্ট ডাকঘরে রূপান্তরের কাজ শুরু হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী স্মার্ট ডাকঘরের জন্য দক্ষ ও স্মার্ট অফিস ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর। ডাক অধিদপ্তরের সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিম্চিত করার মাধ্যমে ডাক সেবার মানোন্নয়ন ও সকল ধরণের অনিয়মের বিরুদ্ধে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন তিনি। সেবাই আদর্শ এ নীতি নিয়ে প্রত্যেককে কাজ করতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সিরাজগঞ্জ প্রধান ডাকঘর পরিদর্শন শেষে স্মার্ট প্লাটফর্মে ডাক অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী পলক। তিনি রাজশাহীর তানোরে প্রতারিত পারুল বেগমকে তার দুই লাখ টাকা হ্স্তান্তর করা হয়েছে কীনা বিষয়টির খোঁজ নেন। স্মার্ট প্লাটফর্মে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুন কান্তি সিকদার, উত্তরাঞ্চল রাজশাহীর পোস্ট মাস্টার জেনারেল কাজী আসাদুজ্জামান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট অব পো্স্ট অফিসের মাধ্যমে নিয়মিত ডাকসেবার পাশাপাশি দেশের দুর্গম এলাকাসহ প্রতিটি গ্রামের সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্মার্ট পরিষেবা পৌছে দেয়া হবে। এর ফলে একদিকে ডিজিটাল বৈষম্য হ্রাস পাবে অন্য দিকে গ্রামে বসেই ৩২৫টিরও বেশি ই-গভর্নমেন্ট সেবা, ই-কমার্স ও ব্যাংকিং সেবা পাবে। এই লক্ষ্যে সরকার দেশের প্রতিটি ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তরে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।”
তিনি আরও বলেন, “স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রায় আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর দিক নির্দেশনায় প্রচলিত ডাক ব্যবস্থাকে স্মার্ট ডাক ব্যাবস্থায় রূপান্তরের কাজ আমরা শুরু করেছি। গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে প্রযুক্তি নির্ভর জাতিতে আমারা পরিণত হয়েছি। অগ্রগতির অগ্রযাত্রার এ ধারা অব্যহত থাকলে ২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমৃদ্ধ জাতিতে আমরা পরিণত হবই।”