শেষ হলো বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৩
ক.বি.ডেস্ক: বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) খাতের বহুমুখীকরণ এবং স্মার্ট কর্মসংসস্থানের পথ দেখিয়ে দেশজুড়ে অর্ধলক্ষাধিক অংশগ্রহণকারীর মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুই দিনব্যাপী (২২-২৩ জুলাই) অনুষ্ঠিত বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৩। জাতীয় সম্মেলনের বাইরে ১৫টি স্টলে নিজেদের সেবা তুলে ধরার পাশাপাশি ফ্রেশ গ্র্যাজ্যুয়েটদের সিভি গ্রহণ করে বাক্কো সদস্যভূক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো।
৯টি সেমিনারে উঠে আসে প্রান্ত থেকে বিশ্ব জয়ের অন্যতম খাত হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের বিপিও খাতকে ছড়িয়ে দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত হলো সমাপনীতে। দেশের বিপিও খাতের অবস্থান তুলে ধরতে পঞ্চম বারের মতো আয়োজন করা হয় বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৩। প্রায় সত্তর হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে বিপিও খাতের মাধ্যমে, যা দ্রুত প্রসারমান।
গতকাল রবিবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের রূপসী বাংলা গ্রান্ড বলরুমে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্টাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) আয়োজিত ‘সোর্সিং বিয়ন্ড বর্ডার্স’ স্লোগানে পঞ্চম ‘‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৩’’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার ও বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ। সভাপতিত্ব করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাক্কো সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ।
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, এআই আসলেও ভীত হওয়ার কোনো কারণ নেই। কেননা, যে রোবট কাজ করবে তা আমাদেরই দেশের মানষুরাই তৈরি করবে। প্রযুক্তি মানুষের কাজ বিলুপ্ত করবে, তা হবে না। এছাড়াও স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম অনুষঙ্গ ডিজিটাল সংযোগ উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, যে কোনে গ্রামে সংযোগ দিতে তার মন্ত্রণালয় প্রস্তুত। দক্ষ মানুষও এখন তৈরি করছে সরকার।
তৌহিদ হোসেন জানান, জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে ঢাকার ৯টিসহ দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ের মোট সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় ১৬টি। এ ছাড়াও ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তরুণদের জন্য অনুষ্ঠিত হয় কর্মশালা। গত মে মাস থেকে শুরু হওয়া বিপিও সামিটে মোট ৮০০০ এর বেশি সিভি জমা পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সামিটে অংশগ্রহণ করে প্রায় ৬০ লক্ষ নেটিজেন।