শেষ হলো ‘বিজয়ে প্রযুক্তি মেলা ২০২১’
ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিসিএস কমপিউটার সিটি ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে পাঁচ দিনব্যাপী (৭-১১ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হয় ‘প্রযুক্তিতে অগ্রগতি’ স্লোগানে ‘‘বিজয়ে প্রযুক্তি মেলা ২০২১’’। ঢাকার আগারগাঁও আইডিবি ভবনে অবস্থিত এই প্রযুক্তি পণ্যের বাজার দেশের আইসিটি সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে। ১৯৯৮ সালে দেশে প্রথম আইডিবি ভবনে প্রযুক্তি পণ্যের মেলা শুরু হয়। সেই মেলা একটা প্রজন্মের কাছে প্রযুক্তির ধারণার বীজ বুনে দেয়।
হাল প্রযুক্তির কমপিউটার, ল্যাপটপ প্রেমীদের আনাগোনায় মুখর ছিলো মেলা প্রাঙ্গণ। কেনাকাটার চেয়ে ঘুরে ঘুরে প্রযুক্তিপণ্য দেখেছেন তারা। দর্শনার্থীর মধ্যে বেশি চোখে পড়েছে স্কুল শিক্ষার্থীদের। মেলার শেষ দিনও ছিলো প্রযুক্তি প্রেমী ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে মুখরিত। প্রযুক্তি পণ্যতে মূল্যছাড় ও বিশেষ অফার ঘোষণা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আগমনে দোকান মালিকরাও খুশি ছিলেন।
মার্কেটে আগত সকল প্রযুক্তি প্রেমী ও ক্রেতারা পান মূল্য ছাড়, কুপন, ক্যাশ ব্যাক অফারসহ বিভিন্ন অফার। এবারের মেলাটি অনলাইনে এবং সরাসরি অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় গেমিং,চিত্রাঙ্কন, কুইজে ১৬ এবং ভিডিও ব্লগ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া প্রতিদিন স্পন্সর প্রতিষ্ঠানগুলো মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পণ্য পরিচিতি ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতিটি আয়োজন ছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষকে কেন্দ্র করে।
বিজয়ে প্রযুক্তি মেলা ২০২১ এর সমাপনী অনুষ্ঠান গত শনিবার (১১ ডিসেম্বর) মেলা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর, বিসিএস কমপিউটার সিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আহমেদ হাসান জুয়েল, বিসিএস কমপিউটার সিটির সাবেক সভাপতিদ্বয় মজিবর রহমান স্বপন এবং রোকনুর রহমান, বিসিএস মহাসচিব মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, এক্সেল টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গৌতম সাহা এবং ইউসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সারোয়ার মাহমুদ খান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিসিএস পরিচালক মোশারফ হোসেন সুমন, এলিফ্যান্ট রোড কমপিউটার ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির (ইসিএস) সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন, মেলার মিডিয়া কনভেনার মো. জাহেদ আলী ভূঁইয়া, স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দসহ বিসিএস কমপিউটার সিটি ব্যবস্থাপনা কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে ধন্যাবাদ জ্ঞাপন করেন মেলার আহ্বায়ক মো. মাহাবুবুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন বিসিএস কমপিউটার সিটি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এ এল মজাহার ইমাম চৌধুরী (পিনু চৌধুরী)।
এন এম জিয়াউল আলম বলেন, সরকার দেশের আইসিটি খাতকে এগিয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ একদিন বিশ্বের মাঝে আইসিটি সেক্টরে নেতৃত্ব দিবে। সেই লক্ষ্যে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আইসিটির ক্ষেত্রে উন্নতি না করতে পারলে এক সময় অন্যদের মতো সমান তালে পথ চলা সম্ভব হবে না এবং এক সময় সে হারিয়ে যাবে। আইসিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য এমন মেলার বিকল্প নেই। যত বেশি প্রযুক্তি মেলা আয়োজন করা হবে, তরুণ তত বেশি প্রযুক্তিকে জানতে পারবে বলে তিনি মনে করেন।
বিজয়ে প্রযুক্তি মেলা ২০২১ মেলার শেষ দিন টগি সার্ভিসেস লিমিটেড লাকী কুপনে বিজয়ীদের সাতটি বাইসাইকেল উপহার প্রদান করে। একটি বাইসাইকেল অসহায় দুঃস্থ একটি বালককে উপহার হিসেবে দেয়া হয়। এ ছাড়া লাকী কুপনে বিজয়ী বাকি বিজয়ীদের আকষর্নীয় উপহার দেয়া হয়। মেলার পাঁচ দিন ৫০০ টাকার পণ্য ক্রয় করলেই টগি সার্ভিসেস থেকে দেয়া হয় একটি লাকী কুপন। লাকী কুপন নিয়ে মেলার পুরো পাঁচ দিন ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ করা গেছে। লাকী কুপন বিজয়ীদের বাইসাইকেল তুলে দেন টগি সার্ভিসেস লিমিটেডের অপারেশন ইনচার্জ মোহাম্মাদ উজ্জল মোল্লা এবং ম্যানেজার (এসসিএম, এইচআর অ্যান্ড অ্যাডমিন) মো. নেসার উদ্দিন আহমেদ।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত বিজয়ে প্রযুক্তি মেলা ২০২১ এর স্পন্সর আসুস, গিগাবাইট, লেনোভো এবং টেন্ডা।