শুরু হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় হ্যাকাথন ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২৪’
ক.বি.ডেস্ক: শুরু হলো দুই দিনব্যাপী (৪-৫ অক্টোবর) বিশ্বের সবচেয়ে বড় হ্যাকাথনের বাংলাদেশ পর্ব ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২৪’। এই হ্যাকাথন একটানা ৩৬ ঘন্টা চলবে। শনিবার রাত ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে সমাপনী অনুষ্ঠান। টানা ১১তম বারের মতো বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহযোগিতায় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) ক্যাম্পাসে চলছে এই হ্যাকাথন।
৩৬ ঘন্টা টানা হ্যাকথন আয়োজনের পর আগামীকাল শনিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এআইইউবি- তে আয়োজিত হবে সমাপনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। সম্মানিত অতিথি থাকবেন এআইইউবি’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন নাদিয়া আনোয়ার।
আজ শুক্রবার (৪ অক্টোবর) এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, এআইইউবি’ প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. মো. আব্দুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসিস জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এম রাশিদুল হাসান, সহ-সভাপতি (অর্থ) ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান, পরিচালক মীর শাহরুখ ইসলাম ও বিপ্লব ঘোষ রাহুল, এবং নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২৪ এর আহ্বায়ক অভিজিৎ ভৌমিক, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ পর্বের উপদেষ্টা মোহাম্মদ মাহদী-উজ-জামান।
ড. মো. আব্দুর রহমান বলেন, “আমরা একটি নতুন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে আগাচ্ছি। এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে আমাদের প্রযুক্তির সকল খাতে সমানভাবে উন্নয়ন করতে হবে। এই উন্নয়নের জন্য আমাদের তরুণদেরকে বেশি বেশি উৎসাহ প্রদান করা প্রয়োজন এবং এই প্রযুক্তিভিত্তিক উন্নয়নের মাধ্যমেই আমরা নতুন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বাস্তবায়ন লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। পাশাপাশি এটিও গুরুত্বপূর্ণ যে, তরুণদের মধ্যে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির প্রতি উৎসাহ প্রদান করা অত্যন্ত জরুরী। এই ধরণের আয়োজনের মাধ্যমে তরুণেরা আরও বেশি উৎসাহ পাবে বলে আশা করি।”
রাসেল টি আহমেদ বলেন, “রংপুরের আবু সাঈদ, ঢাকার ফ্রিল্যান্সার মুগ্ধ ও ড্রোন নির্মাতা তানভীনসহ আরও অনেকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজকের এই নতুন বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি। এখন সময় আমাদের এই নতুন বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার। আর এই দেশ গড়ার একটা ছোট্ট ধাপ হচ্ছে এই নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে তোমরা তোমাদের মেধা এবং যোগ্যতা দিয়ে আবু সাঈদ, মুগ্ধ, তানভীনদের অসম্পূর্ণ স্বপ্ন পূরণ করার দায়িত্ব এখন তোমাদের কাঁধে।”
তিনি আরও বলেন, যখন দেখি তোমাদের মধ্যে কেউ নাসায় গিয়ে বাংলাদেশের পতাকাটা উঁচু করে ধরে তখন আমাদের বুকটা ভরে যায়। তখন মনে হয় আমাদের এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা সফল হয়েছে। বেসিস টানা ১১তম বারের মতো এই আয়োজন করছে। এর মধ্যে বিগত ছয় বছরে আমরা টানা তিনবারসহ সর্বমোট চারবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি তোমরা তোমাদের মেধা দিয়ে, যোগ্যতা দিয়ে এইবারে একসঙ্গে তিন তিনটা গ্লোবাল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব বয়ে আনবে।”
বিগত ১০ বছরে বিশ্বব্যাপী এই প্রতিযোগীতায় টানা তিনবারসহ সর্বমোট চারবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে ‘লুনার ভিআর প্রজেক্ট’ বেস্ট ইউজ অব ডাটা ক্যাটাগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় শাবিপ্রবি’র টিম অলীক। ২০২১ সালে ‘বেস্ট মিশন কনসেপ্ট’ ক্যাটাগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় কুয়েট এবং বাউয়েট সম্মিলিত দল ‘টিম মহাকাশ’ এবং ২০২২ সালে ‘টিম ডায়মন্ডস’ সবচেয়ে অনুপ্রেরণামূলক বিভাগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০২৩-এর বেস্ট স্টোরিটেলিং ক্যাটাগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশের টিম ভয়েজার্স।