উদ্যোগ

লুনার মিশনে এটুআই’র সঙ্গে ওয়ালটন’র চুক্তি

ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রথম লুনার স্যাটেলাইট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে ওয়ালটন টেলিভিশন’এর ক্লিনরুম রিসার্চ ল্যাব ব্যবহার করবে এটুআই। টিভি ম্যানুফ্যাচারিং প্ল্যান্টে আইএসও ক্লাস সেভেন ডাস্ট ফ্রি ক্লিনরুম ছাড়াও রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের রিসার্চ সক্ষমতা, সর্বাধুনিক ল্যাব এবং টেস্টিং ফ্যাসেলিটিজ।

গত সোমবার (২০ নভেম্বর) আইসিটি টাওয়ারে অনুষ্ঠিত সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ ভূঞা এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি সচিব মো. সামসুল আরেফিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন এটুআই’র পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এটুআই ইনোভেশন ফান্ডের প্রধান নাঈম আশরাফী, লুনার স্যাটেলাইট প্রকল্পের টিম লিডার জাহিদ হাসান শোভন, ওয়ালটন টিভির ডিপুটি চিফ বিজনেস অফিসার আবির আহমেদ, রিসার্চ ও ইনোভেশন প্রধান মিঠুন চক্রবর্তী এবং এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জাহিদ হোসাইন।

সচিব মো. সামসুল আরেফিন বলেন, চাঁদে এমন কিছু পদার্থ আছে, যা পৃথিবীতে অপ্রতুল। চাঁদের হিলিয়াম-৩ আইসোটপ পৃথিবীর জন্য ক্লিন এনার্জির এক অন্যতম উৎস। তাই চাঁদ হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যত বাণিজ্যের ঠিকানা। সেখানে যদি আমরা আগেই পদার্পণ করতে পারি তাহলে ভবিষ্যতে আমরা এখান থেকেও বড় ধরনের একটি ব্যবসা-বাণিজ্যের আশা করতে পারি।

দেশে তৈরি চাঁদের অরবিটে প্রথম স্যাটেলাইট পাঠাবার যে প্রচেষ্টা, তাতে ওয়ালটন টিভির নিজস্ব গবেষণা সক্ষমতার মধ্য দিয়ে এটুআই’র সঙ্গে টেকনোলজি পার্টনার হিসেবে সংযুক্ত হলো। নাসার কলেরেডো স্পেস গ্রান্ড কন্সোর্টিয়াম একটি আন্তর্জাতিক গভীর মহাকাশ মিশন পরিচালনা করছে যার নাম ‘দ্যি গ্রেট লুনার এক্সপিডিশান ফর এভরিওয়ান’। আর্টেমিস চ্যালেঞ্জে উত্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে এটুআই ইনোভেশন ল্যাব উক্ত মিশনে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে। ২২টি দেশ ও পরবর্তীতে আরো ৮টি দেশ সংযোজনের মাধ্যমে মোট ৩০টি দেশের ‘লুনার এলিট ক্লাব’- এ প্রবেশ করতে চলেছে বাংলাদেশ।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *