রবিবার মোবাইল ইন্টারনেট চালুর সিদ্ধান্ত নিতে অ্যামটব’র সঙ্গে বৈঠক

ক.বি.ডেস্ক: আগামীকাল রবিবার (২৮ জুলাই) বাংলাদেশের সকল মোবাইল টেলিকম অপারেটরের প্রতিনিধিত্বকারী জাতীয় বাণিজ্য সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব) এর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, কবে থেকে মোবাইল ইন্টারনেট চালু করা হবে। আজ শনিবার (২৭ জুলাই) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়।
পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর গত মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কুটনীতিক পাড়া, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুত, ফ্রিল্যান্সিং ও প্রযুক্তি এবং রফতানিমুখী খাত ওয়াইফাই সেবা পায়। এর পরদিন বুধবার (২৪ জুলাই) থেকে বাসা-বাড়িতে চালু হয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। কিন্তু মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ আছে।
যদিও, দেশব্যাপী ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হলেও এখনও বন্ধ রয়েছে ফেসবুক ও টিকটকের মতো দুটি অ্যাপ। কবে এ দুটি অ্যাপের সেবা পাওয়া যাবে এমন প্রশ্নই এখন ঘুরছে সবার।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, “রবি-সোমবার থেকে মোবাইল ডাটা চালু করার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে ফেসবুক-টিকটকসহ সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিয়ে আলোচনায় বসা হবে। তারা যদি সেখানে অংশ নিয়ে সন্তোষজনক জবাব না দিতে পারে, তবে তাদের প্রতি আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তারা (ফেসবুক) এসে যদি সেই প্রতিশ্রুতি দেয় যে তারা দায়িত্বশীল আচরণ করবে, তখন আমরা বিবেচনা করে দেখব। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে সন্তোষজনক জবাব না পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “ফেসবুক-টিকটক তাদের নিজেদের পলিসি গাইডলাইনস নিজেরাই মেনে চলে না। তারা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের ভূমিকা নেয়। অথচ আমাদের দেশে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে, পুলিশকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করার ছবি-ভিডিও প্রকাশ করে উসকানি ছড়িয়ে দিচ্ছে, যেগুলোকে তারা ব্লক করছে না। এগুলোকে তারা ছড়িয়ে দিচ্ছে, এমনকি তারা সেই কন্টেন্টের বুস্টিং থেকে আয় করছে, কিন্তু কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।”