মনের বন্ধুতে যুক্ত হলো এআই অ্যাসিসট্যান্ট
ক.বি.ডেস্ক: স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড (এসবিএল) ও প্রতিষ্ঠানটির ‘পোর্টফোলিও’ স্টার্টআপগুলোর কর্মীদের স্বাস্থ্যসেবা দেবে মনের বন্ধু। কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সরাসরি ও অনলাইন পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি মনের বন্ধু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রাথমিক মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন অনুযায়ী নিজস্ব জিপিটি তৈরি করে নতুন এই কৃত্রিম সহকারী তৈরি করেছে মনের বন্ধু।
অফিসের কর্মীদের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সেবা ‘এআই অ্যাসিসট্যান্ট ফর এমপ্লয়ী ওয়েলবিং’ মাধ্যমে ইনপারসন ও অনলাইন কাউন্সেলিংয়ের পাশাপাশি নিজ নিজ অবস্থান থেকেই মনের বন্ধুর প্রাথমিক মানসিক স্বাস্থসেবা পাবে প্রতিষ্ঠানগুলো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন অনুযায়ী নিজস্ব জিপিটি তৈরি করে নতুন এই কৃত্রিম সহকারী তৈরি করেছে মনের বন্ধু। প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যক্তির ইংরেজি ভাষা পুরোপুরি বুঝতে পারলেও আগামী তিন মাসের মধ্যে বাংলা ভাষাতেও কথোপকথন করে মনের স্বাস্থের খোঁজ নিতে পারবে মনের বন্ধু এআই অ্যাসিট্যান্ট। টানা দুই বছর গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে এই সেবাটি চালু করা সম্ভব হয়।
গতকাল সোমবার (১৩ মে) রাজধানীর একটি স্থানীয় হোটেলে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান মনের বন্ধু ও উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলোর সহায়ক প্রতিষ্ঠান স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের (এসবিএল) মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন মনের বন্ধুর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদা শিরোপা ও স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ।
সামি আহমেদ বলেন, “মন ভালো থাকলে মানুষের কর্মদক্ষতা বাড়বে। প্রযুক্তির মাধ্যমে যাতে সব বয়সের সবার কাছে সহজে, দ্রুত ও সুলভে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেয়া যায়, তা নিয়ে মনের বন্ধু কাজ করছে।”
তৌহিদা শিরোপা বলেন, “বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য এই সেবাটি সাবসক্রিপশন বেসিসে চালু করা হল। এর মাধ্যমে কোন কর্মীর যদি মন খারাপ হয়, তিনি চাইলেই তার মনের কথা এই এআই অ্যাসিসট্যন্টের সঙ্গে শেয়ার করতে পারবেন। তবে তাদের কোনো কথপোকথন কোথাও রেকর্ড থাকবে না। প্রতিষ্ঠানের কোন বিভাগের কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যের কি অবস্থা তা মাসে মাসে মানবসম্পদ বিভাগকে অবহিত করবে। এ ছাড়াও কোনো কর্মী যখন এআই অ্যাসিসিট্যান্ট ব্যবহার করবেন তখন খুবই মনোযোগী শ্রোতা হিসেবে সে ব্যক্তির পছন্দের বা তার জন্য প্রয়োজনী পরামর্শ দিতে পারবে। একইসঙ্গে কোন চিকিৎসক তার জন্য উপযোগী সেই কথাও শেয়ার করবে।”
চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেট্রো) কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ ইউজি আন্দো, জাইকা বাংলাদেশ অফিসের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আলিমুল হাসান, বিটিআই কমিউনিকেশন ডিরেক্টর আয়েশা সিদ্দিক, আইএলও বাংলাদেশের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর ফারহানা আলম, সুইসকন্ট্যাক্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধি ওয়ারদা আশরাফ, কনসার্ন ওয়ার্লড ওয়াইডের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান সৈয়দ রেজওয়ানা হাসান ও মনোচিকিৎসক ড. আফরোজা, মনের বন্ধুর প্রধান কাউন্সেলর ও হেড অব মেন্টাল হেলথ কাজী রুমানা হক, মনের বন্ধু প্রযুক্তি দলের আহমেদ জাবির।