বেসিস জাপান ডেস্কের প্রথম সভা
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর উদ্যোগে গত ৯ জুলাই অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বেসিস জাপান ডেস্ক এর প্রথম অনলাইন মিটিং ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক জোন অথোরিটির যুগ্ম সচিব হাসান আরিফ, জেট্রো বাংলাদেশের কো-অর্ডিনেটর অঞ্জন দাস, ডেস্টিনি ইনের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও বাংলাদেশি আইটি প্রফেশনাল ইন জাপানের কো-অর্ডিনেটর রেজওনুর কবির রাজিন।
হাসান আরিফ বলেন, স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান ও পুনর্গঠনে জাপানের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। উভয় দেশের পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের বাণিজ্য সম্প্রসারণে বেসিস জাপান ডেস্ক এর উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান। জাপানের বাজারে আমাদের ব্যবসা প্রসারের জাপানি ভাষা ভালোভাবে রপ্ত করা প্রয়োজন। জাপানে ব্যবসা করার উপায় এবং চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া জাপানিদের সঙ্গে কিভাবে ব্যবহার করলে তারা খুশি হন সেই ব্যাপারে উনি আলোকপাত করেন।
অঞ্জন দাস বলেন, বেসিস জাপানের বাজারে বাংলাদেশি আইটি কোম্পানিগুলোর অবস্থান ও আস্থা তৈরিতে গত কয়েক বছর ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই ডেস্ক বেসিস সদস্যদের জাপানে ব্যবসা সম্প্রসারণে এবং জাপানি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে অফশোর ডেভেলপমেন্ট সেন্টার স্থাপনে উৎসাহিত করবে।
রেজওনুর কবির রাজিন বলেন, বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে জাপানে বাংলাদেশের আইটি শিল্পের রপ্তানি বাড়িয়ে তুলতে এই ডেস্ক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। বেসিস জাপানের বাজারে বাংলাদেশি আইটি কোম্পানিগুলোর অবস্থান ও আস্থা তৈরিতে গত কয়েক বছর ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, ইতিমধ্যে ৭৮ টি বেসিস সদস্য প্রতিষ্ঠান জাপান ডেস্কে মাসিক ফি প্রদানের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হয়েছে এবং এই সংখ্যা আরো বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আমরা আশাবাদি যে জাপানের বাজারকে কেন্দ্র করে স্থাপিত এই জাপান ডেস্ক সফল ব্যবসায়িক চুক্তি তৈরি করতে,বিটুবি ম্যাচমেকিং করতে,সম্ভাব্য জাপানি আইসিটি সংস্থাগুলির সঙ্গে পরিচিতি স্থাপনে,জাপানের বাজার নিয়ে অবিচ্ছিন্ন গবেষণা করা,জাপান ভিত্তিক আইটি ইভেন্টগুলিতে অংশ নেওয়া ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে জাপানে বাংলাদেশের আইটি শিল্পের রফতানি বাড়িয়ে তুলতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান বলেন, বেসিস জাপান ডেস্ক বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসার একটি কার্যকরি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। জাপান এবং বাংলাদেশের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বাণিজ্য সম্প্রসারণে বেসিস জাপান ডেস্ক কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন। জাপানে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতকে তুলে ধরা এবং জাপান থেকে বাংলাদেশে বিভিন্ন বাণিজ্য সম্পর্কিত বিষয়ে বেসিস জাপান ডেস্ক সমন্বয়কারীর ভূমিকা পালন করবে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বেসিস জাপান ফোকাস গ্রুপের আহবায়ক এবং বেসিসের পরিচালক রাশাদ কবির। তিনি বলেন করোনা মহামারির এই সময়ে সফটওয়্যার এর প্রয়োজনীয়তা বহুলাংশে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামীতে তথ্য প্রযুক্তি খাত দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাত হিসেবে পরিচিতি পাবে এবং এ খাতে বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বেসিস জাপান ডেস্কের পাশাপাশি জাপানের টোকিওতেও একটি বাংলাদেশ ডেস্ক খোলার ব্যাপারেও অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তিনি জানান।