বিসিএসের উদ্যোগে ‘ই-কমার্স পরিচিতি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি
বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির (বিসিএস) সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় ‘ই-কমার্স পরিচিতি’ শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ২৯ মে (শুক্রবার) সন্ধ্যা সাতটায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করেন স্মার্ট টেকনোলোজিসের সফটওয়্যার বিজনেসের প্রধান মো. মিরসাদ হোসাইন। অনলাইনে প্রায় তিন শতাধিক বিসিএস সদস্য অংশগ্রহণ করেন। বিসিএসের ফেসবুক পেজে প্রচারিত হয়।প্রায় ২ হাজার দর্শনার্থী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপভোগ করেন।
অনলাইনে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের (বিপিসি) কো-অর্ডিনেটর এ এইচ এম শফিকুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর। এ সময় ই-কমার্স ব্যবসায় নিজেদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন বিসিএসের সাবেক সভাপতি এস এম ইকবাল, গ্লোবাল ব্র্যান্ডের চেয়ারম্যান এ এস এম আবদুল ফাত্তাহ এবং রায়ান্স কমপিউটার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ হাসান জুয়েল। সঞ্চালনায় ছিলেন বিসিএসের যুগ্ম মহাসচিব মো. মুজাহিদ আল বেরুনী সুজন। বিসিএসের পরিচালক মো. রাশেদ আলী ভূঁঞা ই-কমার্স ব্যবসা সম্পর্কে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, ই-কমার্স প্লাটফর্মে সারা দেশের ব্যবসার ধারণা পরিবর্তন হবে। নতুন উদ্যোক্তারা সহজেই এই ব্যবসার ধরণের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারবেন। যারা ইতোমধ্যে প্রযুক্তি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তারাও নিজেদের ব্যবসাকে ই-কমার্সে সম্প্রসারিত করতে উদ্যোগী হতে পারেন।
মো. শাহিদ-উল-মুনীর বলেন, বিশ্বায়নের যুগে ই-কমার্স এখন ব্যবসা বাণিজ্যের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে প্রতিনিয়ত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। ক্রেতারা ই-কমার্সের ওপর ভরসা করতে শুরু করেছে। উন্নত দেশগুলোতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সিংহভাগ অনলাইনে কেনাকাটা করে। আমরা যদি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায় গ্রাহকদের চাহিদা অনুসারে দ্রুত এবং বিশ্বস্ত সেবা প্রদান করি তাহলে শিগগিরই এই খাতে আমরা আমূল পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবো। দৃশ্যমান স্টোরের পাশাপাশি ই-কমার্স সেবার মাধ্যমে সারা দেশে গ্রাহক বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
ই-কমার্স পরিচিতি সম্পর্কে মো. মিরসাদ হোসাইন বলেন, ই-কমার্স ক্ষেত্র এখন আর ক্ষুদ্র কোন বিষয় নয়। বর্তমান সময়ে কোন পণ্য কেনার আগে সচেতন ক্রেতারা সে বিষয়ে ইন্টারনেটে জেনে নেন। বর্তমানে বাংলাদেশে ৩ হাজার কোটি টাকার ই-কমার্স বাজার রয়েছে। রয়েছে ২ হাজারের বেশি ই-কমার্স সাইট। এফ-কমার্সে (ফেসবুক) সেটি ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। শুধু দেশেই প্রতিদিন ৫০ হাজার পণ্য ই-কমার্সের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। এই খাতে যদি আপনি পরিকল্পনা মাফিক এখনি প্রবেশ করতে পারেন ভবিষ্যত ব্যবসা বাণিজ্যে এটা আপনার বেচাকেনার অন্যতম হাতিয়ার হবে। ধারণা করা হচ্ছে ২০৪০ নাগাদ ৮৫ শতাংশ মানুষ অনলাইনে কেনাকাটা করবে। তাই নিজের ব্যবসাকে ই-কমার্সে যুক্ত করার কোন বিকল্প নেই।
প্রসঙ্গত, আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (আইবিপিসি) এবং বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির (বিসিএস) যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।