বিটিআরসি’র দৃষ্টিনন্দন ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ক.বি.ডেস্ক: দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নিজস্ব ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। আজ রবিবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নবনির্মিত ১৫ তলাবিশিষ্ট বিটিআরসি’র দৃষ্টিনন্দন নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিটিআরসি’র নতুন ভবন এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার চায় বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক। এই দেশটাকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলাই তাঁর সরকারের লক্ষ্য। জাতির পিতার তৈরি করে দেয়া ভিত্তি বা শুরু করে যাওয়া প্রতিটি কাজ সফলভাবে করতে পেরে আমি দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। বাংলাদেশে ২০০৯ সাল থেকে আজকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক পদ্ধতির সরকার চলছে, দেশে স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে এই বাংলাদেশকে আমরা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সেখানে আমাদের স্মার্ট জনগোষ্ঠী হবে, স্মার্ট ইকোনমি হবে, স্মার্ট সোসাইটি হবে, স্মার্ট গভর্ণমেন্ট তথা প্রতিটি ক্ষেত্রই স্মার্ট হবে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই তাঁর সরকার সকল ক্ষেত্রেই আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন জনগোষ্ঠী, সমাজ এবং দেশকে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছে। ইনশাল্লাহ আমরা এটা সফলভাবে করতে পারবো।
বিটিআরসি’র যাত্রা হয় ২০০২ সালের ৩১ জানুয়ারি। নতুন ভবন আগারগাঁওয়ে, প্লট-ই ৫/এ শেরে বাংলা নগর এ অবস্থিত।বিটিআরসি’র নিজস্ব কার্যালয় ‘বিটিআরসি ভবন’ এর দেবার মাধ্যমে আইসিটির উন্নয়ন সাধনসহ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথ সুগম করবে। একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ভবনটির কার্যক্রম শুরু করার মাধ্যমে সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে। বিটিআরসি ভবনের মত অত্যাধুনিক স্থাপনা আইসিটি শিল্পের কার্যক্রমকে আরও উন্নত, সহজতর ও আধুনিক করে তুলে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন আরও ত্বরান্বিত করবে।