বাইনারি লজিকে ইন্টেল’র ১৩ তম প্রজন্মের ডেস্কটপ প্রসেসর
ক.বি.ডেস্ক: সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত ২০ অক্টোবর দেশের বাজারে উন্মোচন হলো ‘‘ইন্টেল এর ১৩ তম প্রজন্মের ডেস্কটপ প্রসেসর’’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এক সঙ্গে একই সময়ে ইন্টেল এর নতুন প্রসেসরগুলো দেশের বাজারে উন্মোচন করে দেশের ইন্টেল’র টাইটেনিয়াম পার্টনার বাইনারি লজিক।
৫.৮ গিগাহার্টজ গতিসম্পন্ন ১৩ তম প্রজন্মের সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (সিপিইউ) তথা প্রসেসর উন্মোচন করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি যায়ান্ট প্রতিষ্ঠান ইন্টেল। পাশাপাশি আগের মডেলগুলোর তুলনায় সিঙ্গেল থ্রেডে ১৫ শতাংশ এবং মাল্টি-থ্রেডে প্রায় ৪১ শতাংশ বেশি কার্যকারিতা দেবে নতুন এই প্রসেসর। স্বাভাবিকভাবে এই প্রসেসর ৫.৮ গিগাহার্টজ গতি দেয়ার পাশাপাশি ওভার ক্লকিংয়ের মাধ্যমে ৮ গিগাহার্টজ পর্যন্ত গতি দিতে সক্ষম। ইন্টেল নতুন এই প্রসেসরের নাম দিয়েছে ‘রেপ্টর লেক’’ নতুন এই প্রসেসরের মধ্য দিয়ে বাজারে প্রতিযোগীদের থেকে অনেকখানি এগিয়ে যাবে ইন্টেল।
গত বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার আগারগাঁওস্থ আইডিবি ভবনে অবস্থিত বিসিএস কমপিউটার সিটিতে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাইনারি লজিক’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনসুর আহমদ চৌধুরী, ইন্টেল বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি কৌশিক বোস, বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির (বিসিএস) পরিচালক মোশারফ হোসেন সুমন, বিসিএস পরিচালক মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম’র (বিআইজেএফ) সহসভাপতি ও কমপিউটার বিচিত্রার প্রধান নির্বাহী সম্পাদক ভূঁইয়া ইনাম লেনিন, বিসিএস কমপিউটার সিটি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মজহার ইমাম চৌধুরি পিনু এবং সদস্য সচিব মেহেবুবুর রহমান প্রমুখ।
ইন্টেল এর ১৩ তম প্রজন্মের রেপ্টর লেক ডেস্কটপ প্রসেসর প্রাথমিকভাবে ১২ তম প্রজন্মের মতোই শুধুমাত্র ‘কে সিরিজ’ এর প্রসেসরগুলো ১৩৯০০কে, ১৩৭০০কে ও ১৩৬০০কে উন্মোচন করা হয়। এর পাশাপাশি জেড৭৯০ চিপসেটের মাদারবোর্ডগুলো উন্মোচন করা হয়। এইচ৬১০. বি৬৬০ সহ ১২ প্রজন্মের মাদারবোর্ডগুলোতে ১৩ প্রজন্মের প্রসেসরগুলো চালানো যাবে। ১৩ তম প্রজন্মেও থাকবে ডিডিআর৪ এর সাপোর্ট।
সর্বোচ্চ ২৪টি কোর ও ৩২ টি থ্রেড (হাইব্রিড আর্কিটেকচার); ইন্টেল ৭ আর্কিটেকচার প্রস্তুত (১০এনএম); ১২ তম প্রজন্মের মতোই এলজিএ ১৭০০ সকেট ব্যবহার করায় ১২ তম প্রজন্মের মাদারবোর্ডগুলো দিয়ে চালানো যাবে; পুর্বের জেনারেশনের থেকে ৮-১৫% পর্যন্ত সিঙ্গেল কোর এ বেটার পারফর্মেন্স ও মাল্টিকোরে ৩০-৪০% পর্যন্ত বেটার পারফর্মেন্স দিবে; পিসিআইই৫ জেন এর সাপোর্ট (জিপিইউ+ স্টোরেজ ৭০০ সিরিজ মাদারবোর্ড এর জন্য); ৩৬ মেগাবাইট এল৩ ও ৩২ মেগাবাইট এল২ ক্যাচ মিলিয়ে মোট ৬৮ মেগাবাইট এর ক্যাশ মেমোরি; ডিডিআর৪ ৩২০০ ও ডিডিআর৫ ৫২০০ মেগাহার্টজ এর র্যাম সাপোর্ট; সর্বোচ্চ ৫.৮ গিগাহার্টজ পর্যন্ত ক্লক স্পিড; ১২৫ ওয়াট পিএল১ টিডিপি, ২৪০ ওয়াট পিএল২ টিডিপি।
নতুন প্রসেসরগুলো ১৫ শতাংশ দ্রুত একক-থ্রেডেড কর্মক্ষমতা এবং ৪১ শতাংশ এর বেশি মাল্টি-থ্রেডেড পারফরম্যান্স সরবরাহ করবে। ইন্টেল ১৩ তম প্রজন্মের ইন্টেল কোর কে সিরিজের প্রসেসরগুলো এক-ক্লিক ওভারক্লকিংয়ের অনুমতি দেয় এবং ব্যবহারকারীরা ডিডিআর৫ মেমরি এবং ইন্টেলের এক্সট্রিম মেমরি প্রোফাইল ৩.০ এবং ডায়নামিক মেমরি বুস্ট ব্যবহার করতে পারেন যাতে ডিডিআর৪ এবং ডিডিআর৫ র্যাম উভয়ের সমর্থনসহ ঝামেলামুক্ত মেমরি ওভারক্লক করা যায়।
ইন্টেল ১৩ তম প্রজন্মের ফ্ল্যাগগিপ, ইন্টেল কোর আই৯-১৩৯০০কে ২৪ কোর কোর পর্যন্ত অফার করে (৮টি উচ্চ-পারফরম্যান্স কোর, ১৬টি দক্ষতা কোরসহ),৩২টি থ্রেড এবং ৫.৮ গিগাহার্টজ পর্যন্ত একটি ঘড়ির গতি। এটিকে বিশ্বের দ্রুততম ডেস্কটপ প্রসেসর হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। ইন্টেল এর নতুন প্রসেসরগুলো ২এক্স পর্যন্ত এল২ ক্যাশে এবং বর্ধিত এল৩ ক্যাশে,পিসিআইই জেন ৫.০ সমর্থন, মাল্টি-থ্রেডেড পারফরম্যান্সে উন্নতিসহ আরও দক্ষতার কোর এবং ইন্টেল অ্যাডাপটিভ বুস্টসহ নতুন এবং উন্নত বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে আসে।