ফোরকে আল্ট্রা নাইট ভিডিওসহ উন্নত ভিডিওগ্রাফির ফাইন্ড এক্স৫
অপো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন ‘‘ফাইন্ড এক্স৫’’ সিরিজ উন্মোচন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির নতুন স্মার্টফোন ফাইন্ড এক্স৫ সিরিজের ফোনগুলো স্মার্টফোন ইমেজিং এবং প্রিমিয়াম ডিজাইনের ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড তৈরি করেছে। ফোনগুলোতে এ খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তির ওপর গুরুত্বারো্প করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতমুখী ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে। এ ডিভাইসগুলোতে একটি ডুয়াল ফ্ল্যাগশিপ আইএমএ ক্স৭৬৬ ক্যামেরা সিস্টেম, দুর্দান্ত পারফরমেন্স এবং দ্রুত গতির ৫জি সংযোগ এবং অবিশ্বাস্য সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জিং প্রযুক্তির মেলবন্ধন ঘটেছে।
ফোরকে আল্ট্রা নাইট ভিডিও এবং ফটোগ্রাফি: রাতের বেলা স্মার্টফোন দিয়ে ছবি তোলার ক্ষেত্রে অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়, ফলে অগণিত সুন্দর মুহূর্তগুলো ক্যামেরাবন্দি করা হয় না কিংবা লো-কোয়ালিটিতে মুহূর্তগুলোকে ধারণ করতে হয়। রাতের বেলায় যেনো পরিষ্কার ও ঝকঝকে ভিডিও ধারণ করা যায় তা বিবেচনা করেই অপোর নতুন সিরিজের ফোনগুলোতে নিজস্ব এনপিইউ, মারিসিলিকন এক্স ব্যবহার করা হয়েছে।
অপোর মারিসিলিকন এক্স হলো ফাইন্ড এক্স৫ এর উন্নত ইমেজিং সিস্টেমের একটি মূল উপাদান। ওয়াইড ও আল্ট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল উভয় ক্যামেরাতেই সনির উন্নত ৫০ মেগাপিক্সেল আইএমএক্স৭৬৬ ফ্ল্যাগশিপ সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে। ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরায় উন্নতমানের ফাইভ-অ্যাক্সিস ওআইএস সিস্টেমও রয়েছে। সামনের ক্যামেরার জন্য একটি আইএমএক্স৭০৯ সেন্সর কাস্টমাইজ করতে সনির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। এতে হ্যাসেলব্লাড ন্যাচারাল কালার ক্যালিব্রেশন প্রো মোড এবং বিভিন্ন সৃজনশীল মাস্টার ফিল্টার ব্যবহার করা হয়েছে, যা মোবাইল ফটোগ্রাফিতে আইকনিক ন্যাচারাল কালার, প্রোফেশনাল কালার প্রোফাইল ও স্টাইল নিয়ে এসেছে।
প্রিমিয়াম লুক অ্যা্ন্ড ফিলসহ ভবিষ্যতমুখী ডিজাইন: ডিভাইসগুলোতে শান্ত ও সময়োচিত নান্দনিকতার বহিঃপ্রকাশে ভবিষ্যতমুখী ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে। এর আল্ট্রা-হার্ড, সত্যিকারের সিরামিক ব্যাকের সিরামিক হোয়াইট ও গ্লেজ ব্ল্যাক এ পাওয়া যাচ্ছে। নিরবচ্ছিন্নভাবে চালিত এ সিরামিক ব্যাক প্যানেল যেকোন প্রচলিত কাঁচের প্যানেলের চেয়ে দুইগুণ শক্তিশালী এবং তাপ অপচয়ের জন্য দ্বিগুণ কার্যকর এবং একটি আইপি৬৮ রেটিংসহ স্প্ল্যাশ, জল এবং ধূলা প্রতিরোধী।
ডিসপ্লে ৬.৭ইঞ্চি অতি-স্বচ্ছ বাঁকানো অ্যামোলেড স্ক্রিন। একটি ডব্লিউকিউএইচডি+রেজ্যুলেশন এবং শতভাগ পি৩ কালার গামুট কাভারেজসহ ১০-বিট স্ক্রিন ১ বিলিয়নেরও বেশি রঙ প্রদর্শন করে, মসৃণ টোনাল এবং কালার গ্রেডেশন তৈরি করে, এমনকি রঙের সবচেয়ে সূক্ষ্ম পরিবর্তনের সম্পূর্ণ গভীরতা এবং পরিসীমা প্রদর্শন করে। উন্নতমানের মাল্টি-ব্রাইটনেস কালার ক্যালিব্রেশনের সঙ্গে ডিসপ্লের কর্মদক্ষতা বাড়ায়, এমন রঙ তৈরি করে যা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নির্দিষ্ট ধরনের আলোর আধিক্য ঘুমের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং এর ফলে চোখে সমস্যা দেখা দিতে পারে, তাই এতে ৮১৯২ স্তরের ডিমিং চালু করেছে, যাতে বিভিন্ন আলোর মধ্যে চোখের পাতা দ্রুততার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে। এর ফলে আরও আরামদায়ক দেখার অভিজ্ঞতা এবং এটি স্মার্টফোনে সবচেয়ে উন্নত চোখের যত্ন নিশ্চিত করবে।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী অপো ফ্ল্যাগশিপ: বর্তমান প্রজন্মের মাল্টিকোর স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ১ প্রসেসরের ডিভাইসটি সবচেয়ে চাহিদাপূর্ণ গেম ও অ্যাপ্লিকেশনগুলো পরিচালনা করতে সুপারচার্জ করা হয়েছে। একটি দৃঢ় ৪এনএম উতপাদন প্রক্রিয়ার ওপর ভিত্তি করে, কোয়ালকমের ইন্টিগ্রেটেড ২০২২ ফ্ল্যাগশিপ জিপিইউ ৩০ শতাংশ বেশি পারফরমেন্স ও বর্ধিত এআই ক্ষমতা ছাড়াও পূর্ববর্তী প্রজন্মের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি শক্তি দক্ষতা প্রদান করে। ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ডুয়াল সেল ব্যাটারিতে হেলথ ইঞ্জিনও চালু করেছে, যা দীর্ঘ সময়ের জন্য সর্বোত্তম ব্যাটারির শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে, ১৬০০ চার্জিং চক্র পর্যন্ত, যা এখাতের বর্তমান মানদণ্ডের চেয়ে দ্বিগুণ। উন্নত ৮০ ওয়াট সুপারভুক ফ্ল্যাশ-চার্জিং প্রযুক্তির সহায়তায় ডিভাইসটি মাত্র ১২ মিনিটের মধ্যে শূন্য থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ করা যায় এবং ৫০ ওয়াট এয়ারভুক প্রযুক্তির সহায়তায় মাত্র ৪৭ মিনিটে ওয়্যারলেসলি শতভাগ চার্জ করা যায়।
কালারওএস ১২.১ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন ও সুরক্ষিত: অপোর হিউম্যান-সেন্ট্রিক ইন্টারফেস কালার ওএস ১২.১ চমতকার, ইনটিউটিভ এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার গুরুত্বারোপ করে তৈরি। গুগুলের অ্যান্ড্রয়েড ১২ অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে সমন্বিত হওয়ার ফলে এর মাধ্যমে ব্যবহারীরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী গুগল প্লে স্টোর এবং এর ৩০ লাখের বেশি অ্যাপ থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে নিজেদের পছন্দের অ্যাপ ব্যবহার করার মাধ্যমে স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন, পাশাপাশি তথ্যের গোপনীয়তাও থাকবে সুরক্ষিত।
কালারওএস ১২.১ এ আলো-ছায়ার সাহায্যে আরও বাস্তব ও ত্রিমাত্রিক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা হয়েছে। ব্যক্তিগত কিংবা ব্যবসা, সকল ক্ষেত্রে তথ্যের গোপনীয়তা ও সুরক্ষাকে কালারওএস-এ অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করা হয়েছে। ১২.১ সংস্করণে ব্যবহারকারীরা সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন৷ আর যখন ব্যবহারকারীদের কাজ শেষ করতে মাল্টিটাস্কিং এর চেয়েও বেশি কিছু প্রয়োজন হবে, তখন তারা নতুন মাল্টি-স্ক্রিন কানেক্ট ফিচারের মাধ্যমে উইন্ডোস পিসি ও ফোনে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারবেন। ব্যবহারকারীর তথ্য, সেটা ব্যক্তিগত কিংবা ব্যবসায়িকই হোক, তথ্যের গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা বজায় রাখা কালারওএস এর অগ্রাধিকারের মূল বিষয়। আর এক্ষেত্রে গৃহীত উদ্যোগগুলোকে আইএসও, ইপ্রাইভেসি এবং ট্রাস্টআর্ক- এর মতো থার্ড পার্টি সংস্থাগুলো স্বীকৃত দিয়েছে এবং ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ফাইন্ড এক্স৩ প্রো প্রথম চীনা স্মার্টফোন হিসেবে এমডিএফপিপির কমন ক্রাইটেরিয়ার সনদ অর্জন করেছে।