ফেসবুক হলো মানুষকে সংযুক্ত করার একটি মাধ্যম: প্রতিমন্ত্রী পলক
ক.বি.ডেস্ক: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন বাংলাদেশে মেটা’র কর্মকর্তারা। বৈঠকে ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া, নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি করাসহ গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশে একটি আঞ্চলিক অফিস স্থাপন এবং ভবিষ্যতে বিনিয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
গতকাল বুধবার (২০ মার্চ) আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের দপ্তরে বৈঠকে মেটা’র পাবলিক পলিসির প্রধান রুজান সারওয়ার, প্রাইভেসি ও এআই ম্যাটার এক্সপার্ট আরিয়ান জিমেনেজ এবং কনটেন্ট বিষয় বিশেষজ্ঞ নয়নতারা নারায়ণ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি প্রকল্পের পলিসি এডভাইজর মো. আব্দুল বারী।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “ফেসবুক হলো মানুষকে সংযুক্ত করার একটি মাধ্যম। আমি এর পজিটিভ দিক নিয়ে কাজ করছি ও ভবিষ্যতেও চাই। আমরা সিঙ্গাপুর, আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ইন্ডিয়া’র পলিসির আদলে আইন করতে চাই। বাংলাদেশ ফেসবুকের কাছে নিয়মিত তথ্য চায়। কিন্তু ২০১৬ সালে প্রথম তথ্য দেয় ফেসবুক। দেশের জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা যেন কোন তথ্য ফেসবুকের কাছে চাওয়া মাত্রই পাই সেজন্য বাংলাদেশে একটি আঞ্চলিক অফিস স্থাপনের পূর্বের ন্যায় এবারেও বলা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এআই’র নেতিবাচক ব্যবহার কমানো এবং ঝুঁকি কমানোর জন্য সরকার একটি এআই আইন করতে চায়। যদি মেটা চায় এআই পলিসি এর খসড়া প্রণয়নে অংশগ্রহণ করতে পারে। পার্সোনাল ডাটা প্রটেকশন অ্যাক্ট (পিডিপিএ) এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) পলিসি শুধুমাত্র বাংলাদেশেরই নয়, এটি বৈশ্বিক ইস্যু। আমরা উদারনৈতিক ও আধুনিক আইন প্রণয়নের কাজ করছি। আমরা মেটাকে শুধুমাত্র একটি কোম্পানি বিবেচনা করি না, আমরা চাই ওরা প্রযুক্তি খাতে কর্মসংস্থান সৃজন ও উদ্যোক্তা তৈরিতে আরও বেশি মনোনিবেশ করবে।”