ফিউচার লাইট-পেইন্টিং লেদার টেকনোলজি
ক.বি.ডেস্ক: বিশ্বে এবারই প্রথম ‘‘ফিউচার লাইট-পেইন্টিং লেদার টেকনোলজি’’ নিয়ে আসার ঘোষণা দিলো স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। এই প্রযুক্তির ফলে স্মার্টফোনের ব্যাক কভার আল্ট্রা-ভায়োলেট (ইউভি) আলোর সংস্পর্শে এলে পেছনের অংশে ব্যবহারকারীরা তাদের স্টাইল ও মুড অনুযায়ী অভিনব ও আকর্ষণীয় রঙ পেতে পারবেন। এই উদ্ভাবন ইনফিনিক্সের প্রযুক্তিগত উতকর্ষতায় যুগান্তকারী অর্জন এবং এটি স্মার্টফোনের লেদার ব্যাক-কভারে ভিন্নমাত্রা যোগ করতে সক্ষম হয়েছে। এই বিশেষ ফিচারটি মিলবে ইনফিনিক্সের ভবিষ্যত স্মার্টফোন ডিভাইসগুলোতে।
নেক্সট–লেভেল স্মার্টফোন টেকনোলজি: ফিউচার লাইট-পেইন্টিং লেদার টেকনোলজি একটি প্রতিবর্তনযোগ্য রঙ পরিবতর্ন প্রযুক্তি, আল্ট্রা-ভায়োলেট (ইউভি) আলোর সান্নিধ্যে এলে এমনটি ঘটে থাকে। সমন্বিত ফটোক্রোমিক পলিমার এর মাধ্যমে রঙ পরিবর্তনের এই প্রযুক্তির দেখা মিলবে ইনফিনিক্সের ব্যাক কভার এর লেদারে; ইউভি আলোর সংস্পর্শে সেখানে আণবিক ঘটনে পরিবর্তন আসে। আবার স্মার্টফোনটি সরাসরি আলো থেকে দূরে সরিয়ে আনলে বা ঘরে নিয়ে এলে ডিভাইসটি তার প্রাথমিক রঙ ফিরে পায়। এই প্যাসিভ কালার-চেঞ্জিং টেকনোলজি স্মার্টফোন থেকে বাড়তি কোনো চার্জ ব্যয় করে না। এটি প্রচলিত ও সাধারণ লেদার ব্যাক-কভারের একঘেয়েমি, সীমাবদ্ধতা দূর করে এবং স্মার্টফোনে দুই কিংবা তার চেয়ে বেশি রঙ পরিবর্তনের ফিচার সহ নতুনত্ব নিয়ে আসে।
স্মার্টফোনে লাইট পেইন্ট:ফিউচার লাইট-পেইন্টিং লেদার স্মার্টফোনের নান্দনিকতা বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশেও সাহায্য করে। লাইট টু পেইন্ট এর সৃজনশীল এই ফিচার ব্যবহার করে ডিভাইসটি কাস্টমাইজ করার অফুরন্ত সুযোগ থাকবে গ্রাহকদের এবং ব্যাক কভারে ব্যবহার করা যাবে বিভিন্ন প্যাটার্নও।
স্থায়িত্ব নিশ্চয়তায় এই প্রযুক্তি: গ্রাহকদের লাইফস্টাইল,পছন্দনীয় বিষয় ও তাদের চাহিদাকে অনুধাবন করতে পেরে এবং সেসব পূরণে ইনফিনিক্সের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কোম্পানিটি নিয়ে এসেছে এই ফিউচার লাইট-পেইন্টিং লেদার টেকনোলজি। এই প্রযুক্তি উন্নয়ন প্রক্রিয়া ছয় মাস ধরে পরিচালিত হয়েছে এবং ইঞ্জিনিয়াররা তাদের কাঙিক্ষত ফলাফল পাবার জন্য লেদারটি শতশত বার পরীক্ষা করেন। ইনফিনিক্স মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আরও নিশ্চিত হতে চেয়েছে যাতে স্মার্টফোনটি দীর্ঘদিন ব্যবহারের পরও লেদারের রঙ উজ্জ্বল থাকে এবং লেদারের আকৃতির বিকৃতি না হয়। এ ছাড়া, ব্যাক কভারটি পাতলা ও মসৃণ হওয়ায় ব্যবহারকারীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ফোনটি ধরতে পারবেন এবং এটি হাত থেকে পড়ে গেলে কিংবা আঘাত পেলেও পাবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা।