প্রতিটি নাগরিকের একটি মাত্র পরিচয় থাকবে
ক.বি.ডেস্ক: মন্ত্রিসভায় গতকাল সোমবার (১০ অক্টোবর) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২২ এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম নিরাপত্তা সেবা বিভাগের আওতায় নিয়ে আসতে এবং দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি অনন্য পরিচয় নম্বর প্রবর্তণ করার লক্ষ্যে এটি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রি পরিষদের নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এটিকে নিরাপত্তা সেবা বিভাগের আওতায় নিয়ে আসতেই এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে-এই বিভাগ পাসপোর্ট (কার্যক্রম) পরিচালনা করে। প্রতিটি নাগরিকের একটি মাত্র পরিচয় থাকবে। এক ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন নম্বর তার পাসপোর্ট, এনআইডি ও অন্যান্য নথিতে ব্যবহৃত হবে। এখন জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধনকে সরকারের তত্ত্বাবধানে নিয়ে আসতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বর মাসে চালু হওয়া নির্বাচন কমিশনের প্রকৃত ধারণায় ছিল ভোটার পরিচয়পত্র কার্ড প্রস্তুত করা, জাতীয় পরিচয়পত্র নয়। মূল ধারণাটি নির্বাচনের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। বর্তমানে নির্বাচন কমিশন ২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, ২০০৭ সাল থেকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করে ১৮ বছর ও তদুর্ধ্ব বয়সী নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র কার্ড প্রদান করছে।
তিনি আরও বলেন, এটিকে (খসড়া আইন) নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কিন্তু এটি আইনে পরিণত হওয়ার আগে, আইন পরিষদ বিভাগকে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। আইনপরিষদ বিভাগকে বিদ্যমান আইনের ভিত্তিতে যতটা সম্ভব খসড়া আইনটি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে শুধু কয়েকটি ধারা যুক্ত করতে বলা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদের মতে, বিদ্যমান আইনটি খুবই ভাল। নিরাপত্তা সেবা বিভাগ মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিলটি উপস্থাপন করে।
