পার্বত্য ২৮টি পাড়াকেন্দ্রে ডিজিটাল ক্লাসরুমের যাত্রা
ক.বি.ডেস্ক: দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের ২৮টি পাড়াকেন্দ্রে ডিজিটাল ক্লাসরুমের যাত্রা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ২৮টি পাড়াকেন্দ্রে ডিজিটাল ক্লাসরুম পরিচালনার উপকরণ, ডিজিটাল কন্টেন্টসহ ট্যাবলেট এবং পাঠ্যাপুস্তক হস্তান্তরের মাধ্যমে এর যাত্রা হয়। সুবিধা বঞ্চিত প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলের ৬শ’ ৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে বিটিআরসি’র এসওএফ তহবিলের অর্থায়নে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের আওতায় পার্বত্য অঞ্চলের ২৮টি পাড়াকেন্দ্রে প্রাথমিক বিদ্যালয় ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রমের যাত্রা হয়। বিজয় ডিজিটালের সিইও ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ডিজিটাল কনন্টেন্ট ও ল্যাপটপ বিতরণ করেন।
আজ মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘সুবিধা বঞ্চিত অঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ডিজিটাল করণ’ শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিটিআরসির চেয়ারম্যঅন শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজয় ডিজিটালের সিইও জেসমিন জুই। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্যে চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যা ন নুরুল আলম চৌধুরী, রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ এবং প্রকল্প পরিচালক আবদুল ওয়াহাব।
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। শিক্ষা গ্রহণ করার বিষয় তাই জ্ঞান আহরণ করার ক্ষেত্রে ছাত্ররা তা ধারণ করতে না পারলে শিক্ষার মূল্য থাকে না। দুর্গম অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর প্রথাগত শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির চেয়ে ভাল কাজ হতে পারে না। শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে এটি হলো একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। শিশুরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে আনন্দের সঙ্গে তাদের এক বছরের সিলেবাস ৩ মাসের মধ্যে শেষ করতে সক্ষম হয়। শিশুদেরকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করতেই হবে। ডিজিটাল কনটেন্ট পাওয়ার পর ছুটির পরও বাড়ি যেতে চায় না ছোট্ট শিক্ষার্থীরা।