পাওনা আদায়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিটিআরসি
ক.বি.ডেস্ক: পাওনা আদায়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আইসিটি খাতের প্রতিষ্ঠান আমরা টেকনোলজিস এর পর এবার আইআইজি প্রতিষ্ঠান ম্যাংগো টেলিসার্ভিসেস এবং আই-টেলের ৮০ শতাংশ ব্যান্ডউইডথ ব্লক করে দিয়েছে বিটিআরসি। আজ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) এই দুটি প্রতিষ্ঠানকে ব্যান্ডউইডথ ব্লকের নির্দেশনা দেয়া হয়।
ম্যাংগোর কাছে বিটিআরসির পাওনা ছিল ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রথম দফায় ৯৫ লাখ টাকা দেয়া হয়। ২০২৩ সালের ২৭ ডিসেম্বরের প্রতিষ্ঠানটির পাওনা পরিশোধের কথা থাকলেও তা পরিশোধ করেনি তারা। এরপর আবার ৮২ লাখ টাকা পরিশোধ করে ম্যাংগো। সর্বেশেষ ৫৪ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বিটিআরসির।
আই-টেলের কাছে বিটিআরসির পাওনা ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির কাছে পাওনা আদায়ে পদক্ষেপ নিয়েও এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পায়নি বিটিআরসি।
এর আগে আমরা টেকনোলজিসের ৮০ শতাংশ ব্যান্ডউইডথ ব্লক করে রেখেছে বিটিআরসি। প্রতিষ্ঠানটির কাছে বিটিআরসির পাওনা ২২ কোটি ৬৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। পাওনা না পেয়ে মাসখানেক আগে (১৪ ডিসেম্বর,২০২৩) বিটিআরসি তাদের এই ৮০ শতাংশ ব্যান্ডউইডথ ব্লক করে।
বিটিআরসি প্রতিষ্ঠানটিকে চলতি সপ্তাহে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, ১০ কোটি টাকা ডাউন পেমেন্ট দিলে এই ব্লক প্রত্যাহারের সুযোগ দেয়া হবে। আর বাকি ১২ কোটি ৬৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকা ১৮টি কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। এই কিস্তি প্রতি মাসের ২০ তারিখে দিতে হবে। এ ছাড়া কিস্তির সঙ্গে বার্ষিক লাইসেন্স ফি এবং ২০২৩ সালের সর্বশেষ প্রান্তিক হতে রেভিনিউ শেয়ারিংও নিয়মিত পরিশোধ করতে হবে প্রতিষ্ঠানটিকে। আর কোনো কিস্তি, চলতি রেভিনিউ শেয়ারিং ও লাইসেন্স ফির টাকা যদি সময়মত না দিতে পারে তাহলে শতভাগ ব্যান্ডউইডথ ব্লক করে দেয়া হবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক টেলিযোগাযোগ বিভাগের দায়িত্ব নিয়েই সরকারের রাজস্ব আদায়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অধীনস্থ কোম্পানি, দপ্তর ও সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিটিআরসি কার্যালয়ে নিয়ন্ত্রণ সংস্থার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি বৈঠকও করেন।
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘আমরা সব ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো। আমাদের গাইডলাইন, লাইসেন্সি শর্ত যা কিছু আছে সবকিছু অনুযায়ী সরকারের পাওনা টাকা সরকারকে ফেরত দেয়ার বা আদায় করার চেষ্টা করবো। সরকারের এই টাকা দেশের সাধারণ মানুষের টাকা। সরকারকে এই টাকা ফেরতে দেয়া অবশ্যই আমাদের নৈতিক ও আইনানুগ দায়িত্ব। যে প্রতিষ্ঠানই হোক এই টাকা আদায়ে বিটিআরসি সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন করেবে এবং এখানে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।’’