পদ্মা সেতুর ইলেক্ট্রনিক টোল সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলো নগদ

ক.বি.ডেস্ক: পদ্মা সেতুতে নিরবচ্ছিন্নভাবে চলাচলের জন্য অত্যাধুনিক ইলেক্ট্রনিক টোল সংগ্রহের (ইটিসি) দায়িত্ব পেয়েছে নগদ। ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে আরএফআইডি প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বল্প সময়ের ভেতর টোল আদায়ের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। টোল প্লাজায় না থেমেই নগদের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যানবাহনের টোল পরিশোধ করতে পারবেন। তাতে যানবাহন চলাচলের সময় যেমন বাঁচবে, একইসঙ্গে ভোগান্তিও অনেকাংশে লাঘব হবে। এতে করে গতানুগতিক পদ্ধতিতে লাইন ধরে টাকা দিয়ে টোল পরিশোধের দিন শেষ হবে।
গতকাল বুধবার (৩০ এপ্রিল) বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে নগদ। রাজধানীর সেতু ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চুক্তিপত্রে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) খন্দকার নুরুল হক এবং নগদ-এর চিফ স্ট্রাটেজি অফিসার মো. মুয়িয তাসনিম ত্বকী স্বাক্ষর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ, সেতু অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) আলতাফ হোসেন, নগদ-এর প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহ।
মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, “জনগণকে ঝামেলাহীন সেবা দিতেই আমরা পদ্মা সেতুর টোল আদায়কে ডিজিটাল পেমেন্ট করার উদ্যোগ নিয়েছি। এই প্রক্রিয়ায় আসন্ন ঈদ-উল আযহার সময় থেকেই যাত্রীরা যাতে সহজেই পদ্মা সেতু ব্যবহার করে যাতায়াত করতে পারে সেটাই হবে আমাদের লক্ষ্য। সে জন্যই নগদসহ আরও কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমরা চুক্তি করছি।”
মো. মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, “আমরা আমাদের প্রযুক্তিকে ডিজিটাল পেমেন্ট উপযোগী করে গড়ে তুলছি। সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের প্রণোদনাও দেয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে সরকারের দিক থেকেও একটু উদ্যোগ নেয়া গেলে সেবাটি অনেক বেশি জনপ্রিয় হতে পারে। সফলভাবে করা গেলে টোল প্লাজায় গাড়ির অপ্রয়োজনীয় জট যেমন হবে না, তেমনি টোল আদায়ের লেনদেনও হবে আধুনিক ও স্বাচ্ছন্দ্যময়।”
মো. মুয়িয তাসনিম ত্বকী বলেন, “যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো, তার ফলে বাংলাদেশে ডিজিটাল পেমেন্ট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মাইলফলকের ভূমিকা হিসেবে গণ্য হবে। আমরা অপারেটরেরা সেবা তৈরি করছি। তবে আমাদের উদ্যোগ পরিপূর্ণভাবে সফল হতে হলে অবশ্যই এখানে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বা বিআরটিএ-এর বড় রকমের ভূমিকা রাখতে হবে।”