নিরাপদ টিকা নিশ্চিত করতে ইডটকো ও ফুটস্টেপস’র যৌথ উদ্যোগ
ক.বি.ডেস্ক: সমন্বিত টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইডটকো বাংলাদেশ এবার স্বাস্থ্যসেবা খাতে কোম্পানির ‘টাওয়ার টু কমিউনিটি’ কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি বিস্তৃত করেছে। এর আওতায় প্রতিষ্ঠানটি ফুটস্টেপস’র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ‘‘এনার্জাইজ দ্য চেইন বাংলাদেশ’’ প্রজেক্ট বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাতক্ষীরা জেলার তালা ও কালকিনি উপজেলার প্রান্তিক মানুষদের জন্য নিরাপদ টিকা সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ ঘণ্টা বিদ্যুত বিভ্রাট ঘটে থাকে। ফলে পর্যাপ্ত সংরক্ষণ সুবিধার অভাবে অধিকাংশ টিকা-ই কার্যকারিতা হারায়। যেহেতু টিকা সংরক্ষণের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বা বিকল্প বিদ্যুত সরবরাহ ব্যবস্থা প্রয়োজন, তাই এ প্রজেক্টের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক বিঘ্ন বা গ্রিড ফেইলিওর এর সময়ে প্রয়োজনীয় তাপমাত্রায় টিকা সংরক্ষণ করতে নিজেদের টাওয়ার থেকে নিকটস্থ ওষুধের দোকান সমূহে পাওয়ার ব্যাকআপ দেবার জন্য ইডটকো বাংলাদেশ এগিয়ে এসেছে।
প্রাথমিকভাবে ইডটকো দুইটি রেফ্রিজারেটরে বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছে যাতে করে রেফ্রিজারেটরগুলো বিঘ্ন ছাড়াই টিকা সংরক্ষণের উপযুক্ত তাপমাত্রায় সচল থাকতে পারে। এই টিকা প্রকল্পটি থেকে উপকৃত হবে স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা কমপ্লেক্স থেকে দূরবর্তী স্থানে বসবাসকারী ৩ হাজার ২ শ এর বেশি বাসিন্দা।
গতকাল সোমবার (৪ অক্টোবর) এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধমে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র ‘এনার্জাইজ দ্য চেইন বাংলাদেশ’ এর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ইডটকো বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ম্যানেজার ডিরেক্টর রিকি স্টেইন, ফুটস্টেপসর কো-ফাউন্ডার ও প্রেসিডেন্ট শাহ রাফায়েত চৌধুরীসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, প্রতিরোধযোগ্য বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব প্রশমনে টিকা প্রদানের বিকল্প নেই। তবে প্রযুক্তির অপ্রতুলতা, বিদ্যুত সংকটসহ নানাবিধ সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই প্রান্তিক ও দূরাঞ্চলের বাসিন্দাদের কাছে প্রয়োজনীয় এই স্বাস্থ্যসেবাটি পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয় না। ইডটকো অনগ্রসর এলাকায় টিকা সংরক্ষণের জন্য বিকল্প বিদ্যুত সরবরাহের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা একইসঙ্গে অভিনব ও টেকসই। আমি প্রত্যাশা করব প্রতিষ্ঠানটি তার এই ইতিবাচক কার্যক্রমের বিস্তৃতি ঘটাবে এবং টেলিযোগাযোগ খাতের অন্য অংশীদারদের কাছেও সামাজিক উন্নয়নে এ ধরনের কার্যকরী পদক্ষেপ নেবার আহ্বান রইল।