নবাবগঞ্জ ও দোহারের ২২টি ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট
ক.বি.ডেস্ক: আইসিটি বিভাগের ইনফো সরকার-৩ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলায় ২২টি ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের উদ্বোধন করা হয়। এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।পাশাপাশি নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলার আইসিটি বিশেষজ্ঞ ও উদ্যোক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
গতকাল শনিবার (০৯ অক্টোবর) নবাবগঞ্জ উপজেলার ওয়াসেফ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের উদ্বোধন এবং আইসিটি বিশেষজ্ঞ ও উদ্যোক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সম্মানিত অতিথি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ। সভাপতিত্ব করেন ঢাকার জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম।
সালমান ফজলুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সততা, সাহস ও দূরদর্শিতার জন্য আজকে সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ। এখন প্রতিটি সেক্টরেই উন্নতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতায় আসলেন তখন মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র সাড়ে ৪’শ ডলার। আর ১১ বছর পর এই আয় এসে দাড়িয়েছে ২২২৭ ডলারে। এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর মতো দেশের প্রতিটি নাগরিককে পরিশ্রম করতে হবে। সবার ঐক্যান্তিক পরিশ্রম দেশকে আরও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করবে।
জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, আজকে নবাবগঞ্জের প্রতিটি বাড়ি বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত, এখানে ফ্রিল্যান্সাররা উচ্চ গতির ইন্টারনেট চায়, শিক্ষকগণ আরও বেশি কমপিউটার ল্যাব চায়। জনপ্রতিনিধিরা এখানে যেন আরও আধুনিক প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ আসে তার জন্য তারা হাইটেক পার্ক এবং শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার চায়। কি যাদু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আছে যে, একটা দরিদ্র রাষ্ট্রকে ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিণত করতে পারলেন। এর প্রথম কারণ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর সততা, দ্বিতীয় হল সাহসিকতা এবং তৃতীয় হচ্ছে তাঁর দূরদর্শিতা। শহর এবং গ্রামের পার্থক্য দূর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ১২ বছরের মধ্যে একটা দরিদ্র রাষ্ট্র থেকে মধ্যম আয়ের মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।