তৃতীয় প্রান্তিকে ৪ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে গ্রামীণফোন
ক.বি.ডেস্ক: সার্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে ৪,০১০ কোটি টাকা আয় করেছে গ্রামীণফোন লিমিটেড, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১.৪ শতাংশ বেশি। এই প্রান্তিক শেষে গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৫৬ লাখে। বর্তমানে মোট গ্রাহকের ৫৯.৮ শতাংশ, ৫ কোটি ১২ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন।
আজ (সোমবার) ২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করেছে গ্রামীণফোন লিমিটেড। আর্থিক ফলাফলে দেখা যায়, এবার গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় ৫৬.১ কোটি বা ১.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রান্তিকে ব্যয় মাত্র ১ শতাংশ বেড়েছে। ইবিআইটিডিএ ১.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আয়ের প্রবৃদ্ধির চেয়ে বেশি। কর পরবর্তী মুনাফা (এনপিএটি) কিছুটা প্রভাবিত হয়েছে; তবুও এনপিএটি মার্জিন শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে ১৮.৭ শতাংশ। কর পরবর্তী মুনাফা ৭৫১ কোটি টাকা। শেয়ার প্রতি আয় ৫.৬। মূলধন ব্যয় (লাইসেন্স, ইজারা ও এআরও ব্যতীত) ৩১১ কোটি টাকা।
গ্রামীণফোন লিমিটেডের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, “জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশের অর্থনীতি সাময়িকভাবে গতি পেতে পারে, কারণ বাজারের সামগ্রিক কার্যক্রমে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রতি প্রান্তিকে আমরা প্রযুক্তি, পণ্যের অফার, ডিজিটাল অপারেশন এবং গ্রাহক সম্পৃক্ততায় নতুনত্ব আনছি, যাতে দ্রুত পরিবর্তনশীল বাজারে প্রাসঙ্গিক ও অগ্রণী থাকতে পারি। আমরা নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে ভবিষ্যতের পথে এগোচ্ছি এবং সেই ভবিষ্যৎ হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-নির্ভর। ধাপে ধাপে ফাইভজি বাস্তবায়নের পাশাপাশি আমরা নেটওয়ার্ক অপারেশন, গ্রাহক অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা উন্নয়নে এআই-চালিত উদ্যোগে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ ও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
গ্রামীণফোনের সিএফও অটো মাগনে রিসব্যাক বলেন, ““সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এখনও স্থবির এবং বাজারজুড়ে প্রবৃদ্ধি আমাদের প্রত্যাশার তুলনায় ধীর। তবুও এ প্রান্তিকে আমাদের আর্থিক ফলাফল আশাব্যঞ্জক। স্থিতিশীল মুনাফার হার এবং মূল ব্যবসায়িক ক্ষেত্রগুলোতে কঠোর শৃঙ্খলার মাধ্যমে আমরা পুনরায় প্রবৃদ্ধিতে ফিরেছি। এটা সেই সময় যখন একটি বাস্তবসম্মত ও ভবিষ্যত-উপযোগী অপারেটিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা উচিত। যে প্ল্যাটফর্মের ভিত্তি হবে ক্লাউড-নেটিভ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। এগুলো দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ এবং স্বল্পমেয়াদে প্রভাব সীমিত হলেও আমরা আশা করি প্রবৃদ্ধি পুনরায় গতি পাওয়ার সাথে সাথে কাঠামোগত সুবিধাগুলোও আরও লক্ষ্যণীয় হয়ে উঠবে।”





