‘ডিজিটাল ভেরিফিকেশন অ্যান্ড ফ্যাক্ট চেকিং’ কর্মশালার সমাপ্তি

ক.বি.ডেস্ক: বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তাদের নিয়ে আইসিটি বিভাগ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী (১৫-১৬ এপ্রিল) ‘ডিজিটাল ভেরিফিকেশন অ্যান্ড ফ্যাক্ট চেকিং’ কর্মশালার সমাপ্তি হলো। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ ধরনের প্রশিক্ষণ খুবই সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন কর্মশালায় উপস্থিত প্রশিক্ষণার্থীরা। ভবিষ্যতে ডিপফেক শনাক্তকরণ, এআই কনটেন্ট চিহ্নিতকরণসহ আরও সময়োপযোগী মডিউল ও নিয়মিত রিফ্রেশার কোর্স চালু করা হলে জনসংযোগ কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতা আরও বাড়বে বলে মনে করেন তারা।
আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে অনুষ্ঠিত তথ্য কর্মকর্তাদের জন্য ‘ডিজিটাল ভেরিফিকেশন অ্যান্ড ফ্যাক্ট চেকিং’ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। কর্মশালায় প্রশিক্ষকের ভূমিকা পালন করেন ফ্যাক্টচেক বিডি’র প্রতিষ্ঠাতা কদরুদ্দিন শিশির ও মিনহাজ আমান। প্রশিক্ষণটি ফ্যাসিলেট করেন ইনফরমেশন ইন্টেগ্রিটি রিসার্চার মারুফ আহমেদ।
শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, “বর্তমান ডিজিটাল যুগে ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে যা সরকারের কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। মনে রাখতে হবে মিথ্যা তথ্য দেশের সামাজিক সৌহার্দ্য নষ্ট করে তাই এ বিষয়টিকে ছোট করে দেখা বা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নাই। এসবের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জনসংযোগ কর্মকর্তারা যদি তথ্য যাচাইয়ের দক্ষতা অর্জন করেন তাহলে তারা সরকারের প্রকৃত বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছতে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেন।”
এ প্রসঙ্গে কর্মশালায় উপস্থিত প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের উপপ্রধান তথ্য অফিসার এ কে এম কামরুল আহছান বলেন, “আমরা প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে দেশ, সরকার এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে অপতথ্য, অপপ্রচার কার্যকরভাবে খন্ডন করতে সক্ষম হবো। এতে একদিক যেমন গুজব প্রতিরোধ করা যাবে, অন্যদিকে দেশ ও সরকারের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হবে।”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফয়সল হাসান বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়াসহ মূল ধারার বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে যেমন তথ্যের অবাধ প্রবাহ ঘটছে, তেমনি বিভিন্নভাবে ভুল তথ্য, অপতথ্য ছড়িয়ে যাচ্ছে তা ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত যেভাবেই হোক না কেন। সেজন্য জনগণের নিকট সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে যেকোন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিতকরণ বা ফ্যাক্ট চেকিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, “এই প্রশিক্ষণ অপতথ্য, ভুল তথ্য ও গুজব প্রতিরোধ ও শনাক্ত করতে ভূমিকা রাখবে। যে টুলসগুলো ব্যবহার করে মিস ইনফরমেশন ও ডিস ইনফরমেশন চেক করা যায়, সেই টুলসগুলো রিসোর্স পার্সনগণ তুলে ধরেছেন। আমরা ব্যবহার ও প্রায়োগিক দিক জানতে পেরেছি যা মন্ত্রণালয়ের সঠিক তথ্য প্রচার ও অপতথ্য রোধে সহায়ক হবে।”
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুল মালেক বলেন, “এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা গুজব, মিস ইনফরমেশন, ভুল তথ্য বা প্রোপাগান্ডা দ্রুত শনাক্ত করে ডিপফেক প্রযুক্তির মাধ্যমে ছড়ানো ফেক সংবাদ চিহ্নিত করার কৌশল সম্পের্ক জেনেছি। ডিজিটাল সোর্স ক্রস-চেকিং, ডেটা অ্যানালাইসিস এবং প্রাইমারি সোর্স শনাক্ত করার দক্ষতা অর্জন করেছি। এ ছাড়া ব্যক্তিগত তথ্য কীভাবে শেয়ার করতে হবে বা কোন লিঙ্কে ক্লিক করা নিরাপদ- তা বুঝতে পেরেছি।”