ডিজিটাল বিভাজনে প্রয়োজন ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি: প্রতিমন্ত্রী পলক
ক.বি.ডেস্ক: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বৈষম্য হ্রাস করে সমান সুযোগের বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব। ডিজিটাল বিভাজনে সার্বজনীন সেতুবন্ধুন তৈরিতে প্রয়োজন ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ গত এক দশকে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি অর্জন করেছে।
গতকাল রবিবার (২৩ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক) আয়োজিত “রিজিওনাল কনসালটেশন অন গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট”-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আইসিটি সচিব মো. সামসুল আরেফিন, জাতিসংঘের আরসিও প্রতিনিধি গুইন লুইস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (ইউএন, এমইএ) ফাইয়াজ মুরশিদ কাজী। সভাপতিত্ব করেন
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “আমরা ডিজিটাল সার্ভিস ডেলিভারি সেন্টারের মাধ্যমে গ্রাম পর্যায়ে ডিজিটাল সরকারি সেবা প্রদান করছি, সমস্ত সরকারি সেবাকে একটি একক পোর্টালের আওতায় নিয়ে এসেছি, প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করেছি এবং নারীর ক্ষমতায়ন করেছি। আমরা এখন জি-ব্রেইন নিয়ে কাজ করছি, যা একটি এআই-ভিত্তিক সরকারি পরিষেবা সরবরাহ ব্যবস্থা যেটি প্রথাগত ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করবে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার হোল-অব-গভর্নমেন্ট এপ্রোচে বিশ্বাস করে। আইসিটি বিভাগ এই পদ্ধতির সঙ্গে কাজ করছে এবং আমাদের উদ্ভাবন ও উদ্যোগগুলো অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে আরও ভাল সরকারি পরিষেবা প্রদানের জন্য শেয়ার করছি। ডিজিটাল-সেবা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে গেছে। ইন্টারনেট সহজলভ্যতার কারণে গ্রামের লোক অনলাইন-সেবা পাচ্ছে। নাগরিকদের স্মার্ট পরিষেবা প্রদান এবং লক্ষ্য অর্জনে হোল-অফ-গ্লোব এপ্রোচ থাকা উচিত।”