ডিজিটাল বিপ্লব ও বাংলাদেশ
ক.বি.ডেস্ক: আইসিটি পাইওনিয়ার ক্লাব গত সোমবার (৭ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজন করে ‘‘ডিজিটাল বিপ্লব ও বাংলাদেশ’’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার। পাশাপাশি অনুষ্ঠানে অ্যাসোসিও’র সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ এইচ কাফি রচিত ‘আবর্ত এনালগ থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও আমরা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
ডিজিটাল বিপ্লব ও বাংলাদেশ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বিএসসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. শাহজাহান মাহমুদ, বিসিএস’র সাবেক সভাপতি এস এম কামাল, বেসিস’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ তৌহিদ, বেসিস’র সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম রাউলি, সিপ্রোকো কমপিউটার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাফকাত হায়দার, দি কমপিউটার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার আতিক-ই-রব্বানী, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু, বেসিস’র সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ফারহানা এ রহমান, বিডিওএসএন’র সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান এবং সাংবাদিক পল্লব মোহাইমেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিও’র সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ এইচ কাফি।
অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাইজেশন যে একটি দেশের অভাবনীয় রূপান্তর ঘটাতে পারে তার প্রমাণ বাংলাদেশ। এনালগ থেকে ডিজিটাল রূপান্তরের অভিযাত্রা খুব সহজ ছিল না। ১৯৯৬ সালের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যানে বাংলাদেশে কমপিউটার এবং মোবাইল ফোন সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হয়ে উঠে এবং এরই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের ভিত্তি স্থাপিত হয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি (বিসিএস) এনালগ যুগ থেকে ডিজিটাল যুগে উত্তরণের এই বিপ্লব এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের শতভাগ এলাকায় উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে। ইন্টারনেটের মূল্য সহজলভ্য করতে ইতোমধ্যে একদেশ এক রেট চালু করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে এশিয়ানান-ওশেনিয়ান কমপিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশনের (অ্যাসোসিও) সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ এইচ কাফি রচিত ‘আবর্ত এনালগ থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও আমরা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আব্দুল্লাহ এইচ কাফির আবর্ত বইটিকে দেশের ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ করেন। আজকের প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা দেশের কমপিউটার বিপ্লব সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা পাবে এবং নিজেদেরকে তৈরি করার জন্য অনুপ্রাণিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আব্দুল্লাহ এইচ কাফি বলেন, অসংখ্য বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে হাতেগোণা কয়েকজন মানুষ দেশের আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি বিকাশের ভিতটি গড়ে দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশের ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতকে এক অসাধারণ উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন। আমরা যখন তরুণ ছিলাম আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রযুক্তিখাতে এই জায়গায় উপণীত হবে তা কল্পনাও করতে পারতাম না। বইটিতে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের নায়কদেরকেই তুলে আনা হয়েছে।
বক্তারা বলেন, ১৯৬৪ সালে ঢাকায় কমপিউটার আসে কিন্তু ৮০ দশকের আগ পর্যন্ত কমপিউটারের ব্যবহার ছিল না বললেই চলে। এই অবস্থাটা বিশদভাবে লেখক আবর্তে তুলে এনেছেন যা নতুন প্রজন্মের জন্য প্রেরণার উতস হিসেবে কাজ করবে।