‘ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের জয়যাত্রা’ শীর্ষক সেমিনার
ক.বি.ডেস্ক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়-এর ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের জয়যাত্রা’ শীর্ষক বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি শীর্ষক প্রকাশনার নতুন সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। কেক কেটে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয়-এর ৫৩তম জন্মদিন উদযাপন করা হয় এবং সজীব ওয়াজেদ জয়-এর ওপর নির্মিত জয়যাত্রা শীর্ষক অডিও ভিজ্যুয়াল প্রদর্শন করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে এবং এটুআই’র সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের জয়যাত্রা’ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। সভাপতিত্ব করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এ সময় সেমিনারে বক্তব্য রাখেন আইসিটি সচিব মো. সামসুল আরেফিন, আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল, এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি’র ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম।
আরও বক্তব্য রাখেন এটুআই’র পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী, বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড’র এমডি সামী আহমেদ, বিসিএস’র সভাপতি ইঞ্জি. সুব্রত সরকার, আইএসপিএবি’র সভাপতি মো. ইমদাদুল হক, বাক্কো’র সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ এবং বাক্কো’র সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন- ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তখন তা অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা এখন বাস্তবে পরিণত করেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ সফলভাবে বাস্তবায়নের পর প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
তাঁরই দিকনির্দেশনায় সারাদেশে ইন্টারনেট সংযোগসহ আইসিটির অভূতপূর্ব সম্প্রসারণ ঘটেছে। তাঁর সময়োচিত দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে একটি মেধাভিত্তিক, উন্নত ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে। সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি সজীব ওয়াজেদ জয় দেশের আইসিটির ক্ষেত্রে আক্ষরিক অর্থেই বৈপ্লবিক কর্মসম্পাদন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়-এর সফল নির্দেশনায় ২০২১ সালের মধ্যেই ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবে রূপ লাভ করেছে। বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করেছেন তিনি। স্মার্ট বাংলাদেশ-এর অগ্রযাত্রায় দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান বক্তারা। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে ভবিষ্যতের আলোকিত স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনাগুলো তুলে ধরা হয়।
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আজ আমরা প্রায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে গেছি, শুধু তাই নয় বিশ্বের ৩২তম দেশ হিসেবে নিউক্লিয়ার ক্লাবে যোগদান করেছে বাংলাদেশ। সেইসঙ্গে ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে আজ অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের এই সকল অর্জনের নেপথ্য কাণ্ডারী তারুণ্যের আইকন সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি আরও বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শ, দিক-নির্দেশনা ও তদারকিতে বিগত সাড়ে ১৪ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ আর কোন স্বপ্ন নয়, একটি স্বপ্নের সফল রূপায়নের নাম। এই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে। শ্রাবণের এমন সিক্ত দিনে আইসিটি উপদেষ্টাকে জানাই আন্তরিক অভিবাদন! জন্মদিনের অসংখ্য শুভেচ্ছা আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদ জয়।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ বৈশ্বিক ডিজিটাল অগ্রগতি থেকে একটুও পিছিয়ে নেই। অদম্যগতিতে আমরা চলছি তথ্যপ্রযুক্তির এক মহাসড়ক ধরে। আমাদের সাফল্য গাঁথা রয়েছে এই খাতে, যা সত্যিই গৌরব ও আনন্দের। ডিজিটাল দেশ হিসেবে সারাবিশ্বের বুকে আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য সবার জন্য কানেক্টিভিটি, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, ই-গভর্নমেন্ট এবং আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি প্রোমোশন-এ চারটি স্তম্ভ নির্ধারণ করে ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়ন হয়েছে। সততা, সাহসিকতা ও দূরদর্শিতা দিয়ে মাত্র ১৩ বছরে সারাবিশ্বকে তাক লাগিয়ে ৪০ শতাংশ বিদ্যুতের দেশ শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। যেখানে ৫৬ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল, আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের যুগোপযোগী পরিকল্পনা ও পরামর্শে ব্রডব্যান্ড কানেকটিভিটি ইউনিয়ন পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।