ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিসিএস কমপিউটার সিটি: মোস্তাফা জব্বার
ক.বি.ডেস্ক: ‘প্রযুক্তির সোপানে উতকর্ষের শীর্ষে’ স্লোগানে আজ বিসিএস কমপিউটার সিটিতে শুরু হলো ‘‘সিটি আইটি মেগা ফেয়ার ২০২২’’। দেশের বৃহত্তম কমপিউটার ও ল্যাপটপ মেলাটি দশ দিনব্যাপী (২৯ ডিসেম্বর-৭ জানুয়ারি) চলবে। ‘মেট্রোরেলের গতিতে কেনাকাটা হবে তুড়িতে’ বিষয়টি মাথায় রেখে মেলা চলাকালীন সময়ে ক্রেতাদের জন্য রয়েছে সকল পণ্যের ওপর আকর্ষণীয় মূল্যছাড় ও পুরস্কার। এ ছাড়া দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে র্যাফলে ড্র এর মাধ্যমে আকর্ষণীয় পুরষ্কার জেতার সুযোগ। মেলায় প্যাভিলিয়ন, স্টল তৈরির মাধ্যমে এখানে অন্য এক ধরনের আমেজ তৈরি হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য মেলা প্রাঙ্গণ খোলা থাকবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) জমকালো ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ‘সিটি আইটি মেগা ফেয়ার ২০২২’ এর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাসোসিও’র অ্যাওর্য়াড কমিটির আজীবন চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ এইচ কাফি, বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি’র সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার, গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক জসীম উদ্দিন খোন্দকার এবং বিসিএস কমপিউটার সিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আহমেদ হাসান জুয়েল। সভাপতিত্ব করেন বিসিএস কমপিউটার সিটি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এ এল মজহার ইমাম চৌধুরী (পিনু চৌধুরী)। মেলার আহবায়ক মোহাম্মদ জাহেদ আলী ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, নতুন প্রজম্মের জানা প্রয়োজন হুট করেই বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়নি। এর জন্য নানা চড়াই-উতড়াই পার করতে হয়েছে। এই ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ আইডিবি ভবনে অবস্থিত এই বিসিএস কমপিউটার সিটি। আর এই আর্ন্তজাতিক মানের প্রযুক্তি পণ্যের বাজার কোনো কালেই দূর্বল ছিল না, এখনও নেই। অন্য যেকোনো মার্কেটের চেয়ে এই মার্কেট বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ দেশে এই একটি মার্কেট যেখানে পারিবারিক পরিবেশে সবাই কেনাকাটা করতে পারে। কমপিউটার ইন্ডাস্ট্রির জন্য যা যা প্রয়োজন তা আজীবন করে যাবো। মেট্রোরেল চালুর আগে বেশ কঠিন সময় পার করেছে এই মার্কেট। মেট্রোরেল চালুর পার এবার বন্দীদশা থেকে বের হয়েছে, এটি কিন্তু খুশির সংবাদ। বাংলাদেশ ডিজিটালকরণে আমরা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছি; স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তেও আমরা যোদ্ধা হিসেবে কাজ করে যাবো।
এ এল মজহার ইমাম চৌধুরী বলেন, আইডিবির মেলা আমাদের প্রাণের মেলা। দশ দিনব্যাপী এই মেলাতে মার্কেটজুড়েই থাকবে সকল দোকানে অফার-ছাড়-ডিসকাউন্ট। এ ছাড়া যারা প্যাভিলন, স্টল দিয়েছে ক্রেতারা তাদের কাছে মেলায় বিশেষ সুবিধা পাবে। মেট্রোরেল চালুর পরদিনই আমরা মেলা শুরু করলাম, আশা করছি সিটি আইটি মেগা ফেয়ার ২০২২ সাড়া ফেলবে।
মোহাম্মদ জাহেদ আলী ভূঁইয়া বলেন, আজ বৃহস্পতিবার উদ্বোধনের মাধ্যমে শুরু হলো সিটি আইটি মেগা ফেয়ার ২০২২। দেশের বৃহত্তম কমপিউটার ও ল্যাপটপ মেলায় অংশগ্রহণ করছে বেশ কয়েকটি বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড এবং স্পন্সর প্রতিষ্ঠান। মেলা উপলক্ষ্যে মার্কেটজুড়েই থাকবে নানা ধরনের অফার-ছাড়। যারা স্পন্সর প্রতিষ্ঠান তারা ক্রেতাদের বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে। ১০ দিন ধরে চলবে এই আয়োজন। এবারের মেলায় শিক্ষার্থীরা প্রাধাণ্য পাচ্ছে। এ ছাড়া মেলায় রয়েছে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের জন্য গেমিং প্রতিযোগিতা, বেস্ট পিসি বিল্ডারর্স প্রতিযোগিতা, র্যাফেল ড্রসহ আরও অনেক আয়োজন।
সিটি আইটি মেগা ফেয়ার ২০২২ এর আয়োজক বিসিএস কমপিউটার সিটি ব্যবস্থাপনা কমিটি। মেলার স্পন্সর আসুস, ডেল, গিগাবাইট, এইচপি, লেনেভো এবং লজিটেক। পার্টিসিপেন্ট স্টল প্রতিষ্ঠান স্টারগেট কমিউনিকেশন লিমিটেড, শিমো, এএইচজেড অ্যাসোসিয়েট, বাংলাদেশ টেলিফোন শিল্প সংস্থা এবং দোয়েল ল্যাপটপ। মেলায় দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে এমএসআই’র সৌজন্যে গেমিং, এক্সপি-পেন’র সৌজন্যে চিত্রাংকন এবং টেন্ডা রাউটার’র সৌজন্যে ফটোগ্রফি প্রতিযোগিতা।