ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রাপ্যতায় একযোগে কাজ করার আহ্বান বিমসটেক’র
ক.বি.ডেস্ক: গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট (জিডিসি) সংক্রান্ত আঞ্চলিক পরামর্শ সভায় বক্তারা বিমসটেক সদস্য দেশগুলোকে নিজ দেশের ও দেশগুলোর মধ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রাপ্তিতে বৈষম্য নিরসনে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এই সভাটির লক্ষ্য হলো- নিউইয়র্কে জাতিসংঘে জিডিসি’তে চলমান আলোচনায় একটি ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠস্বরকে সোচ্চার করে অভিন্ন উদ্দেশ্য ও প্রাসঙ্গিক অগ্রাধিকারগুলো চিহ্নিত ও প্রচার করা।
এই সভা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ ও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যত নিশ্চিত করার উপায় খুঁজে বের করবে এবং বেসরকারি খাত ও অন্যান্য অংশীজনদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আইসিটি শিল্পে উদ্ভাবন চালাবে। সভায় বিমসটেক সদস্য দেশগুলোর প্রাসঙ্গিক সরকারি কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি ইউএন-ইএসসিএপি ও বিমসটেক সচিবালয়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। দুই দিনের এ সভায় পাঁচটি প্রযুক্তিগত অধিবেশন রয়েছে।
গতকাল শনিবার (২২ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ এবং বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) সচিবালয় রাজধানীর একটি হোটেলে জিডিসি বিষয়ে দুই দিনব্যাপী (২২-২৩ জুন) আঞ্চলিক পরামর্শের আয়োজন করে।
উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন বিমসটেক মহাসচিব রাষ্ট্রদূত ইন্দ্র মণি পান্ডে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (সার্ক ও বিমসটেক) আব্দুল মোতালেব সরকার, বেসিস সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল।
কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ রূপকল্পের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জিডিসি’র গুরুত্ব রয়েছে। কাউকে পেছনে না ফেলে, অন্তর্ভুক্তি ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে ডিজিটাল অবকাঠামো ও অর্থনীতিতে অধিকতর প্রবেশাধিকারের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন তিনি।”
মহাসচিব রাষ্ট্রদূত ইন্দ্র মণি পান্ডে একটি উন্মুক্ত, নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল ল্যান্ডস্কেপ প্রচারের জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। জিডিসি’কে উদীয়মান প্রযুক্তি, ডিজিটাল অর্থনীতি ও সাইবার নিরাপত্তা ইত্যাদি মোকাবেলায় দেশগুলো যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হয়, তা আরও ভালভাবে বুঝতে পরস্পরকে সহায়তা করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।