ডিজিটাইল যন্ত্র উতপাদন ও রপ্তানি বাংলাদেশের এক অভাবনীয় অর্জন: মোস্তাফা জব্বার
ক.বি.ডেস্ক: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল ডিভাইস আমদানিকারক দেশ থেকে উতপাদনকারী এবং রপ্তানিকারী দেশে বাংলাদেশের রূপান্তর জাতীয় জীবনে এক অভাবনীয় অর্জন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট ডিজিটাল ডিভাইস উতপাদন ও রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠায় যে স্বপ্ন জাতিকে দেখিয়েছিলেন তা আজ পুরণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। সরকারের প্রযুক্তি বান্ধব নীতির ফলে দেশে বিশ্ব মানের ১৪টি মোবাইল কোম্পানি মোবাইল ফোন কারখানা স্থাপন করেছে এবং আরও চারটি কারখানা স্থাপন পাইপ লাইনে আছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা নেপাল ও নাইজেরিয়াসহ বিশ্বের বহুদেশে ল্যাপটপ ও কমপিউটার রপ্তানি করছি।
গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী (৬-৮ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত ‘‘স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলা ২০২২’’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন, হুয়াওয়ে টেকনোলজিসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা তাওগোয়ানজিও, অপো বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড্যামন ইয়াং, ট্রানশন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ানুল হক, ভিভো বাংলাদেশের সেলস ডিরেক্টর শ্যারন ওয়েন, রিয়েলমি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিম শাও, স্যামসাং ইন্ডিয়া ইলেকট্রনিকস লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার হোয়ানসাং উ, ডিএক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেওয়ান কানন এবং মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান মেকার কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহম্মদ খান।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল রূপান্তর ও ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশে সরকার সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানে বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ-এর দিকনির্দেশনায় ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশ বিশ্বের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রমের যাত্রা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়েও আইটিইউ ও ইউপিইউ –এর সদস্যপদ অর্জন, বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, টিঅ্যান্ডটি বোর্ড গঠন, কারিগরি শিক্ষা বিস্তারে যুগান্তকারি উদ্যোগ গ্রহণ করেন। অতীতে দুইটি শিল্প বিপ্লব মিস করলেও বঙ্গবন্ধু তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে শরীক হওয়ার অভিযাত্রা শুরু করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৮ বছরে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় উপনীত করেছেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশের শতকরা ৮০ ভাগ স্মার্টফোনের চাহিদা স্থানীয়ভাবে উতপাদিত কারখানা থেকে তারা মেটাতে সক্ষম হচ্ছেন। তারা আশা করছেন খুব সহসাই তা ৯০ ভাগে উন্নীত করা সম্ভব হবে এবং আগামীদিন মেডইন বাংলাদেশের মোবাইল বিশ্ব বাজারে ছড়িয়ে যাবে।