ডিআইইউ’তে ‘সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা দিবস ২০২৩’ উদযাপন
ক.বি.ডেস্ক: ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিতে দিনব্যাপী (ডিআইইউ) ‘সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা দিবস-২০২৩’ উদযাপন করা হয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সেমিনার, প্রশিক্ষণ কর্মশালা, প্যানেল আলোচনা, গুগল হ্যাকাথন কনটেষ্ট, সাইবার সিকিউরিটি সচেতনতা প্রজেক্ট পদর্শনী এবং ক্যাপচার দ্য ফ্ল্যাগ প্রতিযোগিতা। এই আয়োজনে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট, বিটিআরসির কর্মকর্তাসহ প্রায় তিন শতাধিক প্রযুক্তি প্রেমী অংশগ্রহণ করেন।
সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও অক্টোবর মাস জুড়ে সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আয়োজনে ডিআইইউ’তে ‘সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা দিবস ২০২৩’ উদযাপন করা হয়।
আজ শনিবার (২১ অক্টোবর) বিরুলিয়া সাভারে ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটির ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত ‘সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা দিবস ২০২৩’ এর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিআইইউ’র বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. সৈয়দ আকতার হোসেন। সভাপতিত্ব করেন ডিআইইউ’র উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মাহফুজুল ইসলাম ও ডিআইইউ’র উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসি’র কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী।
শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, সাইবার সিকিউরিটির ওপড় আমরা যতই পলিসি করি না কেন, সেগুলো বাস্তবায়ন হবে না যদি না জনগনের মধ্যে এবিষয়ে সচেতনতা তৈরি না হয়। কেউ কারও সাইবার নিরাপত্তা দিতে পারবে না। প্রত্যেক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে তার নিজ নিজ সাইবার প্রটেকশন নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে প্রত্যেকেই সচেতন হওয়া জরুরী। নতুন প্রজন্মকে দায়িত্ব নিতে হবে আগামীর সুন্দর বাংলাদেশের, তাই তাদেরকে সাইবার নিরাপত্তার ব্যপারে সচেতন ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।
ড. এম লুৎফর রহমান বলেন, আমাদেরকে সাইবার দুনিয়া সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। বাংলাদেশে এখন তথ্য প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটছে। এখনই সময় সাইবার নিরাপাত্তা সম্পর্কে সচেতন হওয়ার। বর্তমান যুগকে বলা হচ্ছে ডাটার যুগ। যার হাতে যত ডাটা তিনি তত ক্ষমতাবান। সুতরাং ইন্টারনেটের দুনিয়ায় আমাদের ডাটাকে সুরক্ষিত রাখা ছাড়া উপায় নেই। সারা পৃথিবীতেই হ্যাকিংয়ে ঘটনা বাড়ছে। শুধু গত বছরেই পৃথিবীর ৮৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট কোন না কোনাভাবে হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে। সুতরাং সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন হওয়া ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, পৃথিবীর মাত্র ৭ শতাংশ মানুষ সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিটিআরসি’র ভাইস-চেয়ারম্যান ইঞ্জি. মো. মহিউদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েট এর ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুল আরেফিন, বিটিআরসি’র পরিচালক (সিস্টেম ও সেবা বিভাগ) লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম রেজাউর রহমান, ডিআইইউ’র সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এ এস এম খায়রুজ্জামান। সমাপনী অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ইঞ্জি. মো. মুশফিকুর রহমান।