উদ্যোগ

ডিআইইউ’তে অনুষ্ঠিত হলো ‘জোটা-জোটি’

ক.বি.ডেস্ক: ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) অনুষ্ঠিত হলো বিশ্বের বৃহত্তম ডিজিটাল ও রেডিও স্কাউটিং ইভেন্ট, ৬৭তম জাম্বুরী অন দ্যা এয়ার (জোটা) এবং ২৮তম জাম্বুরী অন দ্যা ইন্টারনেট (জোটি)। ‘একটি সবুজ বিশ্বের জন্য স্কাউটিং’ স্লোগানে এবারের “জোটা-জোটি” আয়োজনটি অনলাইন, অফলাইন এবং রেডিও-ভিত্তিক অভিজ্ঞতার অনন্য মিশ্রণ ছিল।

বাংলাদেশ স্কাউটস এয়ার অঞ্চলের আয়োজনে এবং ডিআইইউ’র এয়ার রোভার স্কাউট গ্রুপের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা এয়ার এবং কুর্মিটোলা জেলা এয়ারের ২০০ এরও বেশি স্কাউট এবং ২০ জন স্কাউট লিডার অংশগ্রহণ করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ স্কাউটস এয়ার অঞ্চলের সম্পাদক স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ মাসুদ রানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিআইইউ’র বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সৈয়দ আক্তার হোসেন। সভাপতিত্ব করেন ডিআইইউ’র রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ নাদির বিন আলী।

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিআইইউ’র বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি অনুষদের সহযোগী ডিন প্রফেসর ড. বিমল চন্দ্র দাস, বাংলাদেশ স্কাউটস এয়ার অঞ্চলের আঞ্চলিক উপ-কমিশনার ফারহানা রহমান। অনুষ্ঠানে শিক্ষক, অ্যামেচার রেডিও অপারেটর, আয়োজক কমিটির সদস্য, স্বেচ্ছাসেবক এবং স্কাউট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মোহাম্মদ মাসুদ রানা বলেন, “আমরা প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করেছি এবং এর সঠিক ব্যবহার আমাদের যুবকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে স্কাউটরা আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং বিশ্বজুড়ে বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন তৈরি করবে।”

ড. সৈয়দ আক্তার হোসেন বলেন, “এই আয়োজনকে আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখি। স্কাউটরা আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে শিক্ষা ও যোগাযোগের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে।”

অনলাইন কার্যক্রমে স্কাউটরা বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে স্কাউটস ফর এসডিজি, লাইফ স্কিল চ্যালেঞ্জ, ডিজিটাল অ্যাডভেঞ্চার চ্যালেঞ্জ, স্বাস্থ্য ও সুস্থতা চ্যালেঞ্জ, এবং আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব চ্যালেঞ্জসহ নানা চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া, স্কাউটরা ওয়েবিনার, ইন্টারেক্টিভ গেমস, ডিসকভারি সায়েন্স, ফেইথস এন্ড বিলিফস এবং লাইভ শো-এর মতো ইভেন্টে যুক্ত হয়ে অনলাইনে তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করেন।

ডিআইইউতে স্কাউটদের রেডিও-ভিত্তিক অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য অ্যামেচার রেডিও স্টেশন স্থাপন করা হয়, যেখানে বিটিআরসি লাইসেন্সপ্রাপ্ত অপারেটরদের সহায়তায় স্কাউটরা বিশ্বব্যাপী অন্যান্য স্কাউটদের সঙ্গে সরাসরি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। তারা ফোনেটিক বর্ণমালা এবং কিউ কোড ব্যবহার করে রেডিও প্রযুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো শিখে এবং রেডিও পরিচালনার দক্ষতা অর্জন করেন।

অফলাইন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্কাউটরা প্রকৃতি-ভিত্তিক হাইকিংয়ে অংশগ্রহণ করেন এবং নতুন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী প্রকল্প সম্পর্কে জানার জন্য ইনোভেশন ল্যাব পরিদর্শন করেন। দিন শেষে স্কাউটদের জন্য ক্যাম্প ফায়ারের আয়োজন করা হয়, যেখানে তারা দলীয় ও ব্যক্তিগত প্রতিভা প্রদর্শন করে এবং নতুন ধ্যান-ধারণাপুষ্ট শিক্ষামূলক উপস্থাপনা উপভোগ করে।

এবারের জোটা-জোটি আয়োজনটি বিশ্বের বৃহত্তম ডিজিটাল স্কাউট ইভেন্ট হিসেবে স্বীকৃত, যেখানে বাংলাদেশসহ ১৭৮টিরও বেশি দেশের স্কাউট সদস্যরা অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন। এই প্রোগ্রামটি বিশ্বব্যাপী স্কাউটদের জন্য একটি সমন্বিত শিক্ষার অভিজ্ঞতা প্রদান করেছে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *