ট্রেড ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে লেনদেন দ্রুত ও নিরাপদ হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
ক.বি.ডেস্ক: ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ডিজিটালাইজেশন দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি, বিকাশ, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রথাগত বাণিজ্যের সঙ্গে অনেক কাগজের ডকুমেন্টস ও প্রক্রিয়া জড়িত। ট্রেড ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে ডকুমেন্টস দ্রুত প্রেরণ, যাচাই ও যে কোন স্থান থেকে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব হবে- যা ব্যবসায়ের খরচ ও সময় কমাবে। এতে লেনদেন দ্রুত ও নিরাপদ হবে।
গতকাল সোমবার (৮ জুলাই) ঢাকার একটি স্থানীয় হোটেলে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (আইসিসি) বাংলাদেশ আয়োজিত “ডিজিটালাইজেশন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অব বাংলাদেশ” শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এ কথা বলেন।
আইসিসি বাংলদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন এডিবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টও এডিমন গিনটিং, ইউএনস্কাপ’র পরিচালক রুপা চন্দ ও আইটিএফসি’র রিজিওনাল হেড ইফতেখার আলম, আইসিসি বাংলাদেশের ব্যাংকিং কমিশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এ রুমী আলী এবং স্টান্ডার্ড চার্টার্ড বাংক বাংলাদেশের চিফ এক্সিকউটিভ অফিসার নাছের এজাজ বিজয়।
রিসোর্স পার্সন ছিলেন আইসিসি ডিজিটাল স্টান্ডার্ড ইনিশিয়েটিভের পামেলা মার এবং তিয়ানমি স্টিলফেন। কর্মশালায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্যিক ব্যাংক ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, “বাংলাদেশ ক্রস-বর্ডার ট্রেড ও পেমেন্টের জন্য আমাদের দেশ ডিজিটালাইজেশন অত্যন্ত জরুরী। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ডিজিটালাইজেশনের জন্য সরকারে পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। বাংলাদেশ নভেম্বর ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে। যার ফলে অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়ন হবে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের প্রেক্ষাপটে, দেশের চলমান উন্নয়ন ধরে রাখতে কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট শাখাকে স্বয়ংক্রিয় ও ডিজিটালাইজড করে করদাতা, ব্যবসায়ী ও নাগরিকদের নির্বিঘ্নে সেবা প্রদানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।”