জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিসিএস’র আলোচনা সভা
ক.বি.ডেস্ক: স্বাধীনতার স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি (বিসিএস) গত শনিবার (১৪ আগস্ট) অনলাইনে আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন প্রধান অতিথি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. এ এফ এম আব্দুল আলীম চৌধুরীর কন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী এবং বিসিএস উপদেষ্টা মোজাম্মেল হক বাবু।আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর এবং সঞ্চালনায় ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ টি আই এম নুরুল কবীর। এ সময় যুক্ত ছিলেন বিসিএস সহসভাপতি মো. জাবেদুর রহমান শাহীন, মহাসচিব মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মো. মুজাহিদ আল বেরুনী সুজন, কোষাধ্যক্ষ মো.কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, পরিচালকদ্বয় মোশারফ হোসেন সুমন এবং মো. রাশেদ আলী ভূঁইয়া।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, যারা রাইফেল বা বন্দুক হাতে ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার বাড়িতে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন শুধু তারাই বঙ্গবন্ধুর খুনী নন। এর পেছনেও ষড়যন্ত্রকারী রয়েছে। চক্রান্তকারী রয়েছে। এখনো বিদেশের চ্যানেলে খুনীদের সাক্ষাতকারে সেইসব চক্রান্তকারীদের নাম জানা যায়। আমরা বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে এই তথ্য উপাত্তগুলো তুলে ধরতে চাই। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল নিজস্ব স্যাটেলাইট। ৪৩ বছর পর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু ১ উতক্ষেপণের মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধু বৈষম্যমুক্ত আত্ম নির্ভরশীল সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সে স্বপ্নে মাত্র সাড়ে তিন বছরে ভিত্তি রচনা করেছিলেন। তার একটি বড় উদাহরণ আজকে সারা বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টেলিভিশন বিক্রি, ৩০ লক্ষাধিক রেফ্রিরেজারেটর বিক্রি, প্রায় ৫ লক্ষাধিক কমপিউটার ও ল্যাপটপ বিক্রি এবং প্রায় ৪ কোটির বেশি মোবাইল ফোন বিক্রি। সাড়ে তিনশ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ একটি মধ্যম আয়ের দেশ।
ডা. নুজহাত চৌধুরী বলেন, কালরাত বাঙ্গালীর জীবনে বার বার এসেছে। ২৫ মার্চ, ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট আমাদের জীবনে ফিরে ফিরে আসে। শুধু পালন করা নয়, সময় এসেছে ষড়যন্ত্রের পিছনে যে ষড়যন্ত্র, খুনীদের পিছনে যে আসল খুনী তাদের বিষয়ে কথা বলার। নিজেদের ঘরে অপ্রকাশিত বন্ধুরুপী শত্রুও আছে। আমাদের তাদেরকে চিনতে হবে। এই ষড়যন্ত্রের মুলোতপাটন করতে হবে।
মোজাম্মেল হক বাবু বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রিন্সিপালটি ছিল খুবই সরল। উনি ছিলেন মাটির নেতা। জাতীয়তাবাদী নেতা। হাজার বছরের বাঙালি ইতিহাসের সফল শেষ নায়ক যিনি বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিতে সক্ষম হয়েছেন। সেজন্য আমি ১৫ আগস্টকে শোক দিবস বলি না। মাঝে মাঝে শক্তি দিবস বলতাম। এখন বলি চেতনা নবায়নের দিবস। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল, যা কিছু হবে দেশের মাটির সাথে সম্পৃক্ত। যা কিছু হবে এ প্রকৃতি থেকে নেয়া। যা কিছু হবে এ দেশের মানুষের জন্য। এই সামান্য প্রিন্সিপালটাকে মেনে নিলেই দেশের উন্নয়ন হবেই।