উদ্যোগ

চীন দূতাবাসের উদ্যোগে চাঁদপুরে প্রথম স্মার্ট ক্লাসরুম

ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশে তরুণদের প্রতিভা বিকাশে একটি প্রকল্প চালু করেছে চীন দূতাবাস। এই প্রকল্পের প্রথম ধাপে হুয়াওয়ে’র সর্বাধুনিক স্মার্ট শিক্ষা উপকরণসমৃদ্ধ একটি স্মার্ট ক্লাসরুম হস্তান্তর করেছে দূতাবাসটি। চাঁদপুরের ষোলঘরে অবস্থিত চাঁদপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে উন্নত প্রযুক্তির শিক্ষা সরঞ্জাম প্রদান করা হয়েছে।

চাঁদপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে দু’টি আইডিয়া হাব (হুয়াওয়ে’র ইন্টারঅ্যাকটিভ হোয়াইটবোর্ড), সম্পূর্ণ ক্লাসরুমে ওয়াইফাই সুবিধা এবং আইসিটি কোর্স সংশ্লিষ্ট উপকরণ- ভিডিও, অনলাইন কোর্স ও শিক্ষামূলক কনটেন্টযুক্ত অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্মসহ সম্পূর্ণ স্মার্ট ক্লাসরুম সমাধান দান করেছে বাংলাদেশে চীনা দূতাবাস। হুয়াওয়ে শিক্ষকদের ট্যাব প্রদান করেছে এবং ক্লাসরুমকে নতুন করে সাজিয়েছে।

চাঁদপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে স্মার্ট ক্লাসরুম প্রদান উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যান জুনফেং, চাঁদপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো/ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।

শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি বলেন, স্মার্ট ক্লাসরুমে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের শিক্ষার্থীদের শেখার অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে, তাদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ আইসিটি দক্ষতা বিকশিত করবে। বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে এই প্রজেক্ট শিক্ষার্থীদের সাহায্য করবে।

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, চীন বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার অন্যতম শীর্ষ গন্তব্য। মোট ১৪ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশী শিক্ষার্থী চীনে অধ্যয়ন করছেন। ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে উচ্চতর বৃত্তিমূলক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে চীন দূতাবাস। ভবিষ্যতে আমরা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার আরও উন্নত সুযোগ তৈরি করব, যা দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে। পাশপাশি, হুয়াওয়ের মতো চীনের প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণ ও সামাজিক উন্নয়নে এদেশে নিষ্ঠার সঙ্গে বিভিন্ন কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্ব পালন করে চলেছে। বাংলাদেশ ও চীনের আন্তসহযোগিতামূলক সম্পর্ক ও বাংলাদেশে হুয়াওয়ের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সম্প্রসারণের প্রতিজ্ঞার প্রতিফলন হিসেবেই এই স্মার্ট ক্লাসরুমটি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে।

প্যান জুনফেং বলেন, স্মার্ট ক্লাসরুম হল এমন একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের শেখার অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করে তোলা হয়। স্মার্ট স্কুল সিস্টেম শিক্ষা প্রক্রিয়াকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার পাশাপাশি অল্প বয়স থেকেই শিক্ষার্থীদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ আইসিটি দক্ষতার বিকাশে সহায়তা করবে। প্রকল্পটি শিক্ষার্থীদের দক্ষ এবং আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করবে, ফলস্বরূপ ভবিষ্যতে তারা বাংলাদেশকে আরো উন্নত অবস্থানে নিয়ে যাবে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *