গণপরিবহনে চাপ কমাতে রাইড শেয়ারিং সেবা চালুর দাবী
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ঘোষিত সাধারণ ছুটি শিথিল করে সীমিত পরিসরে গণ পরিবহন ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতির পর মোটর বাইক, প্রাইভেট কার ও সিএনজি অটোরিক্সা ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবা চালু করার জন্য আবেদন জানিয়েছে রাইড শেয়ার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানসমূহ। যেহেতু ব্যক্তিগত পর্যায়ে মোটর বাইক এবং প্রাইভেট কার চলাচল নিষিদ্ধ নয় সেহেতু অ্যাপ ভিত্তিক রাইডি শেয়ারিং সেবা চালুর আবেদন জানিয়েছে পাঠাও, সহজ, উবার এবং ওভাই।
জনসাধারণ ও চালকদের নিরাপত্তায় ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) চারটি সদস্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করে একটি এসওপি তৈরী করেছে। এসওপিসহ রাইড শেয়ারিং চালু করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কতৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে।
দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে গত ১ জুন থেকে সীমিত পরিসরে গণ পরিবহন চলাচল অনুমতি পেলেও অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবা এখনো চালু হয়নি। এতে করে, গণপরিবহনের উপর চাপ বাড়ছে এবং তারা দূরত্ব মেনে সেবা দিতে পারছেনা। রাইড শেয়ারিং এর মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর কথা জানা যায়নি বিধায় বিশ্বের অনেক দেশে লকডাউনের মধ্যেও এই সেবা চালু রয়েছে। অ্যাপ ভিত্তিক ও একক সেবা বিধায় এধরনের পরিবহন ব্যবস্থায় সাধারণ গণপরিবহনের চেয়ে বেশী সুরক্ষা দেয়া সুযোগ রয়েছে।
সরকার ভিশন-২০২১ কে সামনে রেখে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’- বির্নিমানের জন্য নানামূখী নতুন নতুন আইটি অ্যানাবেল্ড সেবা প্রবর্তনে উৎসাহ প্রদান করছে। বিশেষত, করোনা সৃষ্ট দূর্যোগকালীন সময়ে অনলাইন ও ই-কর্মাস তথা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ভিত্তিক ব্যবসায়ের উদ্যোক্তারা বিভিন্ন পণ্য, সেবা ইত্যাদি ভোক্তার নিকট পৌছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যা বিস্তৃত ও তাৎক্ষণিক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছে। এই সেবা বন্ধের কারণে বেকার হয়ে যাওয়া চালকেরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মতে, ব্যক্তিগত মোটরযানের মাধ্যমে রাইড শেয়ারিং সেবা প্রদান করা হয় বলে এতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব। বাসস্ট্যান্ডের গণ-জমায়েত কিংবা বাসের ভিতরের ভীড় এতে সহজে এড়ানো যায়। মোবাইল ব্যাংকিংসহ ডিজিটাল পেইমেন্টের সুযোগ থাকায় লেনদেন স্বাস্থ্যসম্মত। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত টেকনিক্যাল ও বেস্ট প্র্যাকটিস গাইডলাইন মোতাবেক প্রচুর বায়ু চলাচলের সুযোগ এবং পৃষ্ঠতলের সাথে সংযোগ কম থাকায় রাইড শেয়ারিং তুলনামূলকভাবে ঝুঁকিমুক্ত।
তাই অনতিবিলম্বে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস চালু করার জন্য সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আইসিটি ডিভিশন, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সকলের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ ও সহযোগিতা কামনা করছে।