সাম্প্রতিক সংবাদ

এনইআইআর বন্ধে মাফিয়া চক্র ওঠেপড়ে লেগেছে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ক.বি.ডেস্ক: অবৈধ মোবাইল ফোনের বিস্তারে বাড়ছে নানামুখী অপরাধ- ভুল সিম রেজিস্ট্রেশন ও eKYC জালিয়াতি, জুয়া ও এমএলএম প্রতারণার বাল্ক এসএমএস, ভুয়া এমএফএস অ্যাকাউন্ট খুলে অর্থপাচার, অনলাইন জুয়া-স্ক্যামিং, ক্লোন ফোন ব্যবহার, রয়্যাল্টি ও ট্যাক্স ফাঁকি, ভারত ও চীন থেকে অবৈধ আনবক্সড হ্যান্ডসেট আমদানি, বিমানবন্দরের লাগেজ পার্টি ও সীমান্ত চোরাচালান সব মিলিয়ে দেশের বৈধ মোবাইল শিল্প ও নিরাপত্তার জন্য তৈরি হচ্ছে বড় হুমকি।

নাগরিক, সমাজ, অর্থনীতি থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সব স্তরেই এ ইস্যুটি গভীরভাবে জড়িত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিডা, মোবাইল ব্যাংকিং ও ব্যাংকিং খাত, বিএফআইইউ এবং এনবিআর সবাই আমাদের কাছে কঠোর নজরদারির অনুরোধ জানিয়ে আসছে। মোবাইল ব্যাংকিং, ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ খাতের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার জন্যও এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ক্লোন ফোন, অবৈধ আমদানি ও চোরাচালানকৃত মোবাইল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা হবে এ ক্ষেত্রে কোনও ছাড় নেই।

আজ বুধবার (১৯ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কথা জানান

গ্রাহকের দিক বিবেচনা করে, বৈধ মোবাইল ফোনের মূল্য কমাতে যা যা করা দরকার তাই করা হবে

বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে এক বছর আগেই কোটি খানেক ফোন এনে দেশকে অবৈধভাবে ডাম্পিং করে ফেলার সুযোগ আর কাউকে দেয়া হবে না। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলছি, কোনও মোবাইল ব্যবসায়ী বা দোকানিদের ব্যবসা নষ্ট করা হচ্ছে না, তারা দেশীয় উৎপাদকদের এবং বৈধভাবে আমদানি করা ফোন বিক্রি করবেন, সৎ পথে ব্যবসা করবেন। বর্তমানে ১টি আইএমইআই কোডের বিপরীতে লাখ লাখ মোবাইল ফোন বানিয়ে দেশে নিয়ে আসা হচ্ছে। এনইআইআর চালু হলে যা আর সম্ভব হবে না এজন্য এনইআইআর বন্ধে মাফিয়া চক্র ওঠেপড়ে লেগেছে। এসব লাগেজ পার্টি, ভুয়া এইচএস কোড, সীমান্ত চোরাচালানি, কেজি দরে আমদানির দিন শেষ করতে এবং এর সঙ্গে জড়িত সব ধরনের ডিজিটাল অপরাধ বিস্তারে লাগাম টানা হবে। এখানে কোনও ছাড় নয়।”

ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে এক বছর আগেই কোটি খানেক ফোন এনে দেশকে অবৈধভাবে ডাম্পিং করে ফেলার সুযোগ আর কাউকে দেয়া হবে না

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “ইতিমধ্যে বিটিআরসিতে আলোচনা করা হয়েছে আমদানি শুল্ক কমাতে এনবিআরকেও চিঠি দেয়া হয়েছে। দ্রুতই এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক হবে। পাশাপাশি দেশীয় উৎপাদকদের মূল্য কমাতে বিটিআরসির পক্ষে অনুরোধও জানানো হয়েছে। গ্রাহকের দিক বিবেচনা করে, বৈধ মোবাইল ফোনের মূল্য কমাতে যা যা করা দরকার তাই করা হবে। বৈধ পথে বিদেশ থেকে আনা ফোনের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজ করতে বিটিআরসি কাজ করছে। ১৬ ডিসেম্বরের আগে অ্যাকটিভ সবগুলো মোবাইল ফোন বৈধ হিসেবে রেজিস্ট্রেশন দেয়া হবে। ভারত বা অন্যদেশে এভাবে গণহারে বিদেশি মোবাইল ফোন প্রবেশ করে না। অবৈধভাবে আমদানি করে বা চোরাই মোবাইল ফোন এনে হাইএন্ড ফোনের মূল্য কমাতে হবে, এটি মানতে রেগুলেটর হিসেবে বিটিআরসি বাধ্য নয়।”

অবৈধভাবে আমদানি করে বা চোরাই মোবাইল ফোন এনে হাইএন্ড ফোনের মূল্য কমাতে হবে, এটি মানতে রেগুলেটর হিসেবে বিটিআরসি বাধ্য নয়

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও বলেন, “নিজের নামে রেজিস্ট্রেশন করা সিম ক্লোন করা হয়নি এমন ফোনে ব্যবহার করা হলে কখনই ঝামেলায় পড়তে হবে না। তাই সিম সব সময় নিজের নামে রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়েছে। প্রবাসীরা বাইরে থেকে নিয়ম মেনে একটি বা দুটি ফোন ফ্রি আনবেন, নিয়ম মেনে রেজিস্ট্রেশন করবেন। কোনও ঝামেলা হবে না। দুটির বেশি ফোনের ক্ষেত্রে এনবিআরের আলাদা নিয়ম রয়েছে। রেজিস্ট্রেশন, ডি-রেজিস্ট্রেশন এবং রি-রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি সমূহ কীভাবে সাধারণ নাগরিকদের জন্য সহজ করা যায়, সে বিষয়ে পাওয়া যৌক্তিক পরামর্শ গুরুত্ব সহকারে আমলে নেয়া হচ্ছে।”

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *