এইউএপি’র ১৫ তম সাধারণ সম্মেলন
ক.বি.ডেস্ক: ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যুগে তথ্য প্রযুক্তি এবং গুণগত শিক্ষার মধ্যে সমন্বয়’ স্লোগানে বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের শিক্ষানেতাদের অন্যতম শীর্ষ সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটিজ অব এশিয়া প্যাসিকি (এইউএপি) এর ১৫ তম সাধারণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলসহ বিশ্বের ১০টি দেশের ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিদগণ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
গতকাল মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকার একটি স্থানীয় হোটেলে আয়োজিত ‘‘এইউএপি’র ১৫ তম সাধারণ সম্মেলন’’ এর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের কলিঙ্গ ইন্সটিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল সায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. অচত সামন্ত, এইউএপি’র প্রথম সহ-সভাপতি ড. মো. সবুর খান, এইউএপি’র মহাসচিব প্রফেসর ড. রিকার্ডো পি পামা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েসন অব ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টস ড. ফার্নান্দো লিয়েন গ্রেসিয়া। সভাপতিত্ব করেন এইউএপি’র সভাপতি ড. পিটার লি লওরেল।
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল শিল্প বিপ্লব বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী দাঁড় করিয়েছে। মানব সভ্যতা একটি নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। চতুর্থ নয় পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার, একাডেমিয়া ইন্ডাস্ট্রিজ ও প্রযুক্তিবিদদের সমন্বিত উদ্যোগে এগিয়ে আসতে হবে। ইউরোপীয়রা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা বলে। সেটি একটি যান্ত্রিক বিপ্লব। তাদের মানুষ নাই তাই যন্ত্র দিয়ে মানুষের অভাব পূরণ করতে চায়। আমরা যন্ত্র চাই তবে মানুষকে বাদ দিয়ে নয়। আমরা তাই পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের পথে হাটছি। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ধারণাটি প্রকাশের আট বছর আগে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ঘোষণা করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
এইউএপি’র লক্ষ্য হলো সংস্থাটির সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে আন্তসম্পর্ক ও সহযোগিতার সুহৃদ সম্পর্ক বৃদ্ধি করে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সর্বোপরি উন্নয়নের জন্য একটি আধুনিক ও কার্যকরী মঞ্চ তৈরি করা। মহামারি পরবর্তী সময়ে ঢাকায় আয়োজিত এই ১৫তম সম্মেলনে শিক্ষানেতারা তথ্য প্রযুক্তি ও মানসম্পন্ন শিক্ষার মধ্যে সমন্বয়ের উদ্দেশ্যে আলোচনা করছেন।
এ ছাড়া করোনা পরবর্তীতে কর্মসংস্থানের জন্য অনলাইন থেকে মিশ্র শিক্ষা ব্যবস্থার উদ্ভাবন, কর্মসংস্থানের ভিত্তিতে ফলাফল নির্ভর শিক্ষার জন্য পরীক্ষামূলক ও ব্যবহারিক শিক্ষার প্রচলন, প্রকল্পভিত্তিক শিক্ষা গ্রহণ ও শিক্ষা প্রদান, উদ্ভাবন- ইনকিউবেশন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন,আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও গতিশীলতা এবং অনুষদের উন্নয়ন ও গবেষণা প্রয়োজন বলে আলোচকরা উল্লেখ করেন।