উদ্যোগ

এআই-ভিত্তিক টেলকো রূপান্তরে গ্রামীণফোনের ‘এআই অ্যান্ড আই’ কর্মসূচি

ক.বি.ডেস্ক: এআই-ভিত্তিক টেলকো-টেক কোম্পানিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে ‘এআই অ্যান্ড আই’ কর্মসূচি শুরু করেছে গ্রামীণফোন। এই উদ্যোগটি ভবিষ্যতমুখী ও গ্রাহককেন্দ্রিক উদ্ভাবনের মাধ্যমে টেলিকম খাতের ভবিষ্যৎ নির্মাণে গ্রামীণফোনের নেতৃত্বের এক অনন্য উদহারণ। গ্রামীণফোনের ‘এআই ফার্স্ট’ যার লক্ষ্য হলো প্রতিষ্ঠানের ভেতরে এআই-এর কার্যকরী সমন্বয়, দ্রুত বাস্তবায়ন এবং সাংস্কৃতিক গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করা। গ্রাহক অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করা এবং কর্মীদের ক্ষমতায়ন।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, “এটি অন্য সব কর্মসূচীর মতো নয়, এটি একটি অভিযাত্রার সূচনা। আমরা বিশ্বাস করি ভবিষ্যৎ শুধু এককভাবে এআই-এর ওপর নির্ভর করছে না, বরং এআই ও ব্যক্তি মানুষের যুগপৎ কার্যক্রম এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের প্রত্যেক কর্মীর কাছে এআই-এর সুবিধা পৌঁছে দেয়া হবে। ফলে গ্রাহকদের আরও বুদ্ধিদীপ্ত, সহানুভূতিশীল ও প্রাসঙ্গিক সেবা প্রদানে সক্ষমতা বাড়বে আমাদের। গ্রামীণফোনে আমরা এআই’কে শুধু একটি প্রযুক্তিগত রূপান্তর হিসেবে দেখি না। এটি মানবসম্পদেরও রূপান্তর।”

নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে গ্রাহক সেবা ও বিপণন- সকল কার্যক্রমে এআই অন্তর্ভুক্ত করছে গ্রামীণফোন। এর মাধ্যমে ৮ কোটি ৬০ লাখের বেশি গ্রাহকদের চাহিদা ও পছন্দ অনুযাযী আরও স্মার্ট, দ্রুত সেবা প্রদান করছ কোম্পানিটি। ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রত্যেক গ্রাহকের প্রয়োজন ও পছন্দ অনুযায়ী অফার প্রদান, কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ইন্টেলিজেন্ট এইচআর বটের ব্যবহার এবং উন্নত মানের সেবা নিশ্চিত করতে এআই-ভিত্তিক নেটওয়ার্ক অপটিমাইজেশন।

সিসকোর সহযোগিতায় এবং এনভিআইডিআইএ জিপিইউ প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের প্রথম এন্টারপ্রাইজ উপযোগী ‘এআই ফ্যাক্টরি’ চালু করেছে গ্রামীণফোন। এর ফলে উচ্চ গতির এআই মডেলের উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। পাশাপাশি সকল কর্মীদের জন্য এআই ট্রেনিং নিশ্চিত করছে কোম্পানিটি। কর্মীদের মধ্য থেকে এআই সলিউশন বের করে আনতে চালু করা হয়েছে ‘জিপি আইডিয়াথন’ যাতে প্রতিষ্ঠানের সব পর্যায় থেকে উদ্ভাবনের ধারা নিশ্চিত হয়।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *