ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ৩৩০ কোটি টাকায় বিশেষ প্রকল্প
ক.বি.ডেস্ক: ইলেকট্রনিক বর্জ্য (ই-বর্জ্য) ব্যবস্থাপনায় বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩০ কোটি টাকা। দেশে নষ্ট হওয়া ইলেকট্রনিক পণ্যের বেশির ভাগই পুনর্ব্যবহারের কোনো ব্যবস্থা নেই। আইসিটি বিভাগের হিসাবে, দেশে বর্তমানে ই-বর্জ্যের পরিমাণ ১০ লাখ টন। গবেষণা সংস্থাগুলো বলছে, ২০৩৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৪৬ লাখ ২০ হাজার টনে। সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠবে।
তাই ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুমোদন দেয়া হয় বিশেষ প্রকল্প। এর মাধ্যমে ই-বর্জ্য সংগ্রহ, পুনর্ব্যবহার উপযোগী করা ও ক্ষতিকর বস্তুগুলো ধ্বংস করতে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে। এটি বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনিবিলিটি অ্যান্ড ইনফোরমেশন প্রকল্পের একটি অংশ বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের উপ-পরিচালক মাহফুজুল কবির।
সঠিক ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এই প্রকল্পের সঙ্গে সিটি করপোরেশনকে যুক্ত করার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মজুমদার বলেছেন, রাজধানীর মতো জায়গায় ই-বর্জ্য সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনায় সিটি করপোরেশনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হলেও তা দেখা যাচ্ছে না। তাই নতুন এই প্রকল্পে নগর কর্তৃপক্ষকে যুক্ত করার পরামর্শ তার।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী জানান, জনবলের অভাব এবং পুনর্ব্যবহারের ব্যবস্থা না থাকায় ই-বর্জ্য আলাদা করে সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। তবে ভবিষ্যতে আলাদা ডাস্টবিন রাখার কথা জানালো তারা।
ভবিষ্যতে ই-বর্জ্য রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।