ই-ক্যাব এর কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন ৩ মে
![](https://computerbichitra.com/wp-content/uploads/2022/06/e-cab.jpg)
ক.বি.ডেস্ক: দেশের ই-কমার্স খাতের বাণিজ্যিক সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)-এর ২০২৫-২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী পরিষদের (ইসি) নির্বাচন আগামী ৩ মে অনুষ্ঠিত হবে। কার্যনির্বাহী পরিষদের ১১টি পদে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। নতুন নেতৃত্ব কীভাবে সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করবে, তা ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এই নির্বাচন বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘোরানোর সুযোগ এনে দিতে পারে।
গত রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) তফসিল ঘোষণা করেন ই-ক্যাব এর প্রশাসক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল সেলের উপসচিব মুহাম্মদ সাঈদ আলী। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে নির্বাচন বোর্ড ও আপিল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব তরফদার সোহেল রহমান (চেয়ারম্যান) এবং সদস্যদ্বয় মো. হাফিজ-আল-আসাদ ও শাহাদাৎ হোসেন।
নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সদস্যপদ নবায়ন ও প্রাথমিক ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির আবেদন করা যাবে। যাচাই-বাছাই শেষে ১৩ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। ১৫ মার্চ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিল কার্যক্রম শুরু হবে এবং ৯ এপ্রিল বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
১৩ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ; ১৫ মার্চ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিল শুরু; ৯ এপ্রিল বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ এবং ৩ মে ভোট গ্রহণ
বাংলাদেশের ই-কমার্স খাত গত এক দশকে ব্যাপক প্রসার ঘটলেও সাম্প্রতিক সময়ে প্রতারণা, গ্রাহক অভিযোগ ও নীতিগত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের মাধ্যমে এই সংকট কাটিয়ে ই-কমার্স খাতকে স্থিতিশীল করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়েই ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলোচনা চলছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৩ আগস্ট ই-ক্যাব এর সভাপতি শমী কায়সার পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে কার্যনির্বাহী পরিষদের অন্যান্য সদস্যরাও পদত্যাগ করার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর প্রশাসক নিয়োগ দেয়। তখন ঘোষণা করা হয়েছিল, ১২০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ায় নির্বাচন বিলম্বিত হয়। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আগামী ৩ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।